প্রতি বছর ২১ মে ভারতে পালন করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী দিবস। এই দিনটি পালন করার প্রধান উদ্দেশ্য হল সন্ত্রাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। এই দিনে সকল মানুষকে, বিশেষ করে তরুণদের সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ থেকে দূরে থাকার বার্তা দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালে ২১ মে, দক্ষিণ ভারতের শ্রীপেরামবুদুরে আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পালন করা হয় জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী দিবস।
তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নিতে গিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। সমাবেশের আগে জনগণের অভিবাদন গ্রহণ করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। লিবারেশন অফ তামিল টাইগার্স ইলম-এর এক মহিলা সদস্য বিস্ফোরক লুকিয়ে রেখেছিল নিজের পোশাকে। রাজীব গান্ধীর পা স্পর্শ করার অজুহাতে তার কাছে যায় ওই মহিলা, তখনই হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে চারিদিক, বিস্ফোরণের ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা সমাবেশ। এরপর সেই স্থানে রাজীব গান্ধী সহ আরও ২৫ জনের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও বিস্ফোরণে বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হয়। সেই থেকে রাজীব গান্ধীর স্মরণে ২১ মে পালিত হয় জাতীয় সন্ত্রাসবাদবিরোধী দিবস।
সারা বিশ্বে সন্ত্রাস চরমে, এই সন্ত্রাস হামলায় নিহত হয় হাজার হাজার মানুষ, এই সন্ত্রাস হামলার কারণে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয় অশান্তির পরিবেশ। জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য, অখণ্ডতা ও শান্তির ওপর জোর দেওয়া হয়। এছাড়াও এদিন মানুষকে সন্ত্রাসের কুফল সম্পর্কে এবং সন্ত্রাসবাদের কারণে সৃষ্টি হওয়া ভয় ও ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন করা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের। এছাড়াও এদিন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী বার্তা।