১ জুলাই পালন করা হয় জিএসটি দিবস। পুরানো পরোক্ষ কর ব্যবস্থার পরিবর্তে ২০১৭ সালের ১ জুলাই দেশে কার্যকর করা হয় পণ্য ও পরিষেবা কর। এই নতুন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার জন্য প্রতি বছর ১ জুলাই পালন করা হয় জিএসটি দিবস। ২০১৮ সালের ১ জুলাই জিএসটি প্রয়োগের প্রথম বার্ষিকীতে প্রথমবার পালন করা হয় জিএসটি দিবস। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় কর সংস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয় জিএসটিকে, এর ফলে দেশের পরোক্ষ কর কাঠামোতে দেখতে পাওয়া যায় বিশাল বড় পরিবর্তন।
দেশে জিএসটি লাগু করার উদ্দেশ্য হল 'এক দেশ, এক বাজার, এক কর' ধারণাকে বাস্তবায়িত করা। জিএসটি লাগু করার সঙ্গে পরিষেবা কর, ভ্যাট, ক্রয় কর, আবগারি শুল্ক সহ অন্যান্য অনেক করের জায়গা নেয় জিএসটি। তবে মদ, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং স্ট্যাম্প শুল্ক জিএসটির মধ্যে যুক্ত করা হয়নি, এগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে পুরোনো কর ব্যবস্থা। এই পুরোনো কর ব্যবস্থার পরিবর্তে দেশে নতুন পরোক্ষ কর ব্যবস্থা প্রবর্তনের ধারণা আসে ২০০০ সালে। এরপর জিএসটি আইনের খসড়া তৈরির জন্য গঠন করা হয় একটি কমিটি।
২০০৪ সালে সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় এই কমিটি। এর দুই বছর পর ২০০৬ সালে বাজেট বক্তৃতায় ২০১০ সাল থেকে দেশে জিএসটি বাস্তবায়ন করার ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে ২০১০ সালে কার্যকর করা যায়নি এটি। দেশে নতুন কর ব্যবস্থা কার্যকর হতে সময় লাগে ১৭ বছর। ২০১৬ সালে রাজ্যসভা এবং লোকসভা দ্বারা পাস হয় জিএসটি। ২০১৭ সালে ১ জুলাই জিএসটি বাস্তবায়িত হয় দেশে। এরপর জিএসটি যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য গঠন করা হয় একটি জিএসটি কাউন্সিল।