হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্রে ফাল্গুন মাসের দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী চতুর্থীর রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। এই দিনে যদি সঠিক নিয়ম মেনে ভগবান গণেশের পুজো ও আরাধনা করা হয়, তাহলে ব্যক্তির জীবন থেকে সমস্ত বাধা কেটে যায় এবং পাপ মুক্ত হয়। সন্তান, ভালো চাকরি এবং ব্যবসায় বিপুল সাফল্য পাওয়া যায়। এবার জেনে নেওয়া যাক, ২০২৪ সালের ফাল্গুন মাসে কবে পালিত হবে দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী চতুর্থী এবং এই দিনের গুরুত্ব ও পুজোর পদ্ধতি।

২০২৪ সালে ফাল্গুন কৃষ্ণপক্ষ চতুর্থী শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, রাত ০১:৫৩ মিনিটে এবং শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, সকাল ০৪:১৮ মিনিটে। ২৮ ফেব্রুয়ারি, উদয়তিথিতে পালিত হবে দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী চতুর্থী।

দ্বিজপ্রিয়া সংকষ্টী চতুর্থী গণেশ ভক্তদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাল্গুন মাসের সংকষ্টী চতুর্থী, যা দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী নামেও পরিচিত, এই দিনে ভগবান গণেশের ৩২টি রূপের মধ্যে ষষ্ঠ রূপ এবং ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীকে শৌদশোপচার পদ্ধতিতে পুজো করা হয়। এই দিনে গণেশের এই ষষ্ঠ রূপের পুজো করা এবং ভগবান গণেশের আশীর্বাদ পাওয়া অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। মান্যতা আছে যে এই উপলক্ষে বিবাহ, বাগদান, গৃহপ্রবেশের মতো শুভ কাজ করা হয়।

ফাল্গুন সংকষ্টী চতুর্থীর দিন ব্রাহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরে ভগবান গণেশের ধ্যান, উপবাস ও উপাসনার সংকল্প নিতে হবে। এরপর পুরো বাড়িতে এবং বাড়ির মন্দিরে অবস্থিত দেব-দেবীর উপর গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিতে হবে। এবার এক জায়গায় লাল বা হলুদ কাপড় বিছিয়ে ভগবান গণেশ, শিব ও মা পার্বতীর মূর্তি স্থাপন করতে হবে। এরপর ধূপ প্রদীপ জ্বালিয়ে মন্ত্র পড়ে পুজো করতে হবে।

২১টি গিঁট দূর্বার সঙ্গে লাল ফুল, লাল চন্দন, রোলি, সিঁদুর, পান, সুপারি, পবিত্র সুতো অর্পণ করতে হবে ভগবান গণেশকে। নিবেদন করতে হবে প্রসাদ, মোদক বা লাড্ডু। চন্দ্র উদিত হলে চন্দ্রকে অর্ঘ্য নিবেদন করে পুজো করতে হবে। সবশেষে গণেশ চালিসা পাঠ করে প্রসাদ বিতরণ‌ করে দিতে হবে।