ভারত প্রতি বছর ১১ সেপ্টেম্বর পালন করে দিগ্বিজয় দিবস। স্বামী বিবেকানন্দের সম্মানে পালন করা হয় এই দিনটি। ১৮৯৩ সালে শিকাগোতে বিশ্ব ধর্মের পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। ১৩১ বছর আগে এই দিনে বক্তৃতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা এবং বেদান্তের দর্শন উপস্থাপন করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। ভারতের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতা।
বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্ব, সহনশীলতা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তাকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর দিগ্বিজয় দিবস পালন করে ভারত। সারাদেশে নানা কর্মসূচি, বক্তৃতা ও আলোচনার আয়োজন করা হয় এদিন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং আধ্যাত্মিক কেন্দ্রগুলি প্রায়শই তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার জন্য আয়োজন করে এই দিনটি। ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, শিকাগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ধর্মের সংসদে যখন স্বামী বিবেকানন্দ বক্তৃতা দিতে শুরু করেন, তখন মানুষ তাঁর প্রথম বাক্য শুনেই হাততালি দিতে শুরু করেছিল। স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন শ্রোতারা।
"আমেরিকার ভাই ও বোন" দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এই কথা শুনে সেখানে উপস্থিত দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিতে বাধ্য হন। এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার বিশ্ব দূত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল স্বামী বিবেকানন্দকে। দিগ্বিজয় দিবস ঐতিহাসিক ঘটনার পাশাপাশি স্বামী বিবেকানন্দের মতামতের কথা স্মরণ করার দিন। স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বাস করতেন যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং শ্রদ্ধার দ্বারা একত্রিত হয়েছে বিশ্ব। তাঁর "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বার্তাটি বর্তমান যুগেও একটি ক্রমবর্ধমান আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে পার্থক্যের মধ্যে সম্প্রীতিকে উৎসাহিত করে।