মাও সে তুং ও দলাই লামা

বৌদ্ধগয়া: বিহারের (Bihar) বৌদ্ধগয়ার (Bodh Gaya) কালচক্র মাঠে (Kalachakra Ground) তিন দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান (religious ceremony) চলছিল বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের (Buddhists)। রবিবার তার শেষদিনে সারা বিশ্বের বৌদ্ধধর্মাবলম্বী মানুষদের ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা (New Year greetings) জানান তিব্বতীয় ধর্মগুরু দলাই লামা (Tibetan spiritual leader Dalai Lama)। অন্যদিকে হাজার হাজার বৌদ্ধ সাধু (Thousands of monks) এবং ভক্তরাও (devotees) তিব্বতীয় ধর্মের সর্বোচ্চ সম্মানীয় ব্যক্তি দলাই লামার দীর্ঘ ও সুস্থজীবন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা (Special Prayers) করেন।

বৌদ্ধ ধর্মের তিনদিনের বিশেষ এই শিক্ষাশিবিরে যোগ দিতে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্ত থেকেই হাজার হাজার ভক্তরা এসেছিলেন। রবিবার তার অন্তিম দিনে তিব্বতীয় ঐতিহ্য মেনে দলাই লামার দীর্ঘজীবনের জন্য প্রার্থনা করার ফাঁকে বিভিন্ন গান ও নাচের প্রদর্শন করেন তিব্বতীয় শিল্পীরা। সারা পৃথিবী থেকে আসা ভক্তদের সামনে রবিবার কিছু না বললেও শনিবার চিনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন দলাই লামা।

রবিবার দলাই লামার হিন্দি অনুবাদক কৈলাশ সোনবোধ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান তিব্বতীয় ধর্মগুরু সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য ভালো আছে বলে জানিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে বলেন, "হিজ হোলিনেস দলাই লামা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে থাকা সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁর স্বাস্থ্য ভালো আছে বলে উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ১১৫ থেকে ১২০ বছর পর্যন্ত বাঁচবেন বলেও জানিয়েছেন। আজ বৌদ্ধ সাধু ও ভক্তদের সঙ্গে বিশেষ প্রার্থনার দলাই লামা বিশ্বশান্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন। তবে আজকে চিন সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি। চিনে থাকা বৌদ্ধ অনুরাগীদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে গতকাল চিনের সরকার কোনও ধর্মে বিশ্বাস করে না এবং বৌদ্ধ ধর্মকে তারা বিষ বলে প্রচার করে বলেই অভিযোগ করেছিলেন দলাই লামা। বৌদ্ধ ধর্মকে দমন করতে (clamping down) মাও সে তুং (Mao Zedong)-এর নীতিকে (policy) চিনের সরকার (Chinese government) অনুকরণ করছে বলে জানান। তবে তিনি বিশ্বাস করেন চিনের নাগরিকদের (people of China) তাঁর প্রতি ভক্তি (devotion) আছে। তাঁদের তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।"

এর আগে শনিবার বৌদ্ধ ধর্মকে ধ্বংস করার চিনা চক্রান্তকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন দলাই লামা। বলেছিলেন, "চিন (China) বৌদ্ধ ধর্মকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করেই চলেছে কিন্তু সফল হয়নি। বৌদ্ধ ধর্মকে বিষ (poisonous) বলে পরিকল্পনামাফিক প্রচার (systematic campaign) করার সঙ্গে সঙ্গে চিন থেকে এই ধর্মকে উৎখাত (weed out) করার সব চেষ্টা করেছে। এর জন্য বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠানগুলিকে (institutions) ধ্বংস করেছে (destroyed), কিন্তু চিনের মানুষের মন থেকে বৌদ্ধ ধর্মকে মুছে দিতে পারেনি।"