
১৪ ফেব্রুয়ারি এমনই একটি ঐতিহাসিক দিন যখন সমগ্র বিশ্ব পালন করে ভালোবাসা দিবস। এই দিনে ভালোবাসা এবং রোমান্সে মগ্ন থাকে বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু এই দিনটি ঐতিহাসিকভাবে ভারতের জন্য খুবই খারাপ ছিল, যার কারণে এই দিনটি কালো দিবস হিসেবে পালন করা হয় ভারতে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভারতের কালো দিবসের ইতিহাস। দিনটি ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সমগ্র বিশ্ব পালন করছে ভালোবাসা দিবস। জম্মু ও কাশ্মীরের জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়কের আওন্তিপোরার কাছে গোরিপোরা দিয়ে যাওয়ার সময় বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি দিয়ে সিআরপিএফের একটি কনভয়ে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
সন্ত্রাসীদের এই হামলায় শহীদ হন ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান। সন্ত্রাসীদের এই কর্মকাণ্ডে আনন্দের দিনটি ভারতে পরিণত হয় দুঃখের দিনে। এই আক্রমণ শুধু সেনা জওয়ানদের উপর ছিল না, এই আক্রমণ ছিল দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর। তবে সাহসী ভারতীয় সৈন্যরা সন্ত্রাসী শিবিরে প্রবেশ করে এবং একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে এর প্রতিশোধ নেয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা ঘটনার ১১ দিন পর ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিরাজ-২০০০ বিমান গোয়ালিয়র বিমানঘাঁটি থেকে প্রতিশোধের জন্য বালাকোটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির ভোরের আগে, ভারতীয় সৈন্যরা পাকিস্তানের বালাকোটে প্রবেশ করে এবং সন্ত্রাসীদের গুরুত্বপূর্ণ শিবির ও আস্তানাগুলিতে বোমাবর্ষণ করে তাদের ধ্বংস করার সঙ্গে কোমর ভেঙে দেয় সন্ত্রাসীদের নেতা জইশ-ই-মোহাম্মদের। এই আক্রমণে, ভারতীয় সৈন্যরা সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন করে এবং তিন শতাধিক সন্ত্রাসীকে হত্যা করে ৪৪ জন ভারতীয় সৈন্যের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়। এটি এমন একটি আক্রমণ ছিল যার ফলে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তান সরকারও। পুলওয়ামা হামলার প্রতিশোধ নিলেও আজও সেই ৪৪ জন নিরীহ সৈন্যের শহীদত্ব ভুলতে পারেনি ভারত। তাই ভারতের জন্য কালো দিন হিসেবে রয়ে গিয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারির দিনটি।