বার্গারের প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

আমিষ ছেড়ে নিরামিষাশী (Vegetarian) হতে দেখা যায় অনেককেই। এখন আবার ভিগান  (Vegan) হচ্ছেন বহু লোকই। অনেক পশুপ্রেমীরাই পেটপুজোর নামে হত্যালীলা সহ্য করতে না পেরে ছাড়ছেন মাছ-মাংস খাওয়া। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা কখনো উল্টোও ঘোরে। অস্ট্রেলিয়ানিবাসী (Australia) টাম্মি জোনাস ছিলেন নিরামিষাশী। কিন্তু একটা বার্গার তাঁর জীবনের গতিবিধি বদলে দেয়। নিরামিষাশী থেকে হলেন আমিষাশী, শেষপর্যন্ত কসাই হয়ে গেলেন তিনি।

টাম্মি জোনাস, অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার বাসিন্দা। বয়স ৪৯। ১৯৭০ সালে পশুচিকিৎসামূলক বই পড়া শুরু করেছিলেন। তখন আবেগপ্রবণ হয়ে ছেড়েছিলেন মাছ- মাংস খাওয়া। এরপর প্রায় ১০ বছর পর তৃতীয়বারের জন্যে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ায় শরীরে হতে থাকে প্রবল রক্তক্ষয়। বাধ্য হয়ে শুরু করতে হয় আমিষ খাওয়া। সে সময় একটি বার্গার খান এই মহিলা! প্রেমে পড়ে যান সেই বার্গারের। তারপর একটা আস্ত পাস্তুরাইজড পিগ ফার্ম কিনে ফেললেন তিনি। আরও পড়ুন, দীপাবলির শুভকে আলোকিত করতে পাকিস্তানের স্বামী নারায়ণ মন্দিরে হিন্দু প্রতিবেশীর সঙ্গে দীপ জ্বাললেন মুসলিমরা

তাঁর বক্তব্য, পশুদের খাওয়ার জন্য হত্যা করাকে আমি কখনই অনৈতিক বলে মনে করিনি। উল্টো আমার মনে হয় পশুদের সঙ্গে অনৈতিক আচার- আচরণ করাটা বেশি দোষের। পশুদেরকে আটকে রেখে নয়, তাদের মত করে বাঁচতে দেওয়া উচিত। এসমস্ত ভাবনা থেকেই তিনি আর তাঁর স্বামী একটি ফার্ম খোলেন। সেখানে পশুদেরকে যত্ন সহকারে রাখা হয়। শুয়োর চাষ করা হয় এখানে। তাদের লালন পালনও করা হয়। আবার মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে মাংস বেচাও হয়।