নতুন দিল্লি, ২২ ডিসেম্বর: নভেল করোনাভাইরাসের (novel coronavirus) নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেনের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা ইউরোপ। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিমান আসাযাওয়া বাতিল করল ভারত সরকার। ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ১১টা বেজে ৫৯ মিনিটে এই নিময় বলবৎ হতে চলেছে। মন্ত্রকের তরফে টুইট করে ইংল্যান্ড থেকে আসা বিমান ও ইংল্যান্ডে যাওয়া বিমানের চলাচল বাতিল হওয়ার খবর জানানো হয়েছে। বর্তমানে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে বিমান পরিবহনে সক্রিয় রয়েছে ভিস্তারা, এয়ার ইন্ডিয়া, ব্রিটিস এয়ারওয়েজ ও ভার্জিন আটলান্টিক নামের বিমান সংস্থা। এই বিমান সংস্থাগুলি সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে ৪০টি ফ্লাইট চালায়। ভারতের ৮টি বিমানবন্দর থেকে ইংল্যান্ডের বিমান ওড়ে।
তবে করোনার নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে বিমানের যাতায়াত বাতিল হলেও এই তালিকায় পড়েছে না বিশেষ ফ্লাইট ও আন্তর্জাতিক কার্গো বিমানগুলি। মূলত সংক্রমণ রুখতেই এই বিমান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছড়াও অন্যসব কানেক্টিং ফ্লাইটে যে যাত্রীরা ইংল্যান্ড থেকে ফিরছেন তাঁদের যেন ভারতের বিমানবন্দের নামার সঙ্গে সঙ্গেই বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর করানো হয়। এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এক্ষেত্রে যাবতীয় চিকিৎসার খরচ যাত্রীদের উপরেই থাকবে। এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত। ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীবাহী বিমানের ক্ষেত্রে রবিবার একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মুখপাত্র জানান, বিশ্বের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণেই বেশকিছু বিমান চলাচল বাতিল হয়েছে। যাত্রীদের এই সংক্রান্ত হয়রানির জন্য আমরা দুঃখিত। তবে সংশ্লিষ্ট দিনে যারা টিকিট কেটেছিলেন তাঁদের অর্থ ফেরতে বন্দোবস্ত করা হবে। আরও পড়ুন-Joe Biden Receives COVID-19 Vaccine: এবার টিভি টেলিকাস্টে করোনার প্রতিষেধক নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বিডেন
ভিস্তারার মুখপাত্র বলেছেন, “ইংল্যান্ড থেকে আসা সমস্ত বিমান বাতিলের যে সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নিয়েছে তা মেনে চলবে ভিস্তারা। বিমান বাতিলের কারণে যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হল। সংস্থার তরফে সেইসব যাত্রীদের বিনামূল্যে একবার গন্তব্যে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা এই সুবিধা পাবেন ২০২১-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।”