Uttarakhand Avalanche (Photo Credit: X@adgpi)

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার মানা গ্রামের কাছে কাজ চলছিল। দায়িত্বে ছিল বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (BRO)।সেই সময়  প্রবল তুষারপাতে একটি ক্যাম্প সম্পূর্ণভাবে বরফের নীচে চাপা পড়ে যায়।৫৪ জন শ্রমিকের চাপা পড়ার খবর আসতেই উদ্ধারকার্যে নামে সেনা বাহিনী। কিন্তু প্রবল তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে শুক্রবার রাতের পর উদ্ধারকাজ কিছুটা স্থগিত রাখা হয়।শনিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে রবিবার সকালে আবহাওয়া পরিষ্কার থাকায় পুনরায় কাজ শুরু হয় জোরকদমে। ভারতীয় সেনা, আইটিবিপি, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, বিআরও এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় ২০০-রও বেশি কর্মীকে উদ্ধারকার্যে দেখা যায়।উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করা হয় আধুনিক প্রযুক্তি-ভিক্টিম লোকেটিং ক্যামেরা, থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা, দিল্লি থেকে আনা গ্রাউন্ড পেনিট্রেশন ব়্যাডার এবং প্রশিক্ষিত অ্যাভালাঞ্চ রেসকিউ ডগ। রবিবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ড্রোন, ইউএভি, এমআই ১৭ হেলিকপ্টার ও তিনটে চিতা হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে শুক্রবার মোলি জেলায় বদ্রীনাথের কাছে মানা গ্রামে তুষারধসে মোট ৫৪ জন শ্রমিকের চাপা পড়ার খবর মেলে। এরপরেই সেখানে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে সেনা বাহিনী।  আপাতত এই উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। অভিযানে ৪৬ জন শ্রমিককে সফলভাবে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বর্তমানে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকারী দলের নিরলস প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ৮ জনের প্রাণ বাঁচানো যায়নি।ভারতীয় সেনাবাহিনী এই তুষারপাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছে।

রবিবার রাতে উদ্ধারকাজ শেষের পরে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সেই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন। আর উদ্ধারকারীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন।