UP Woman burns effigies of husband and in-laws on Dussehra (Photo Credits: X)

দশেরা (Dussehra) উপলক্ষ্যে যখন সর্বত্র রাবণের কুশপুত্তলিকা জ্বালানো হচ্ছে তখন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক মহিলা রাবণের পরিবর্তে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কুশপুত্তলিকা জ্বালালেন। স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে দশেরা উদযাপন করলেন পুত্রবধূ। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের মুসকারার ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী। মহিলার কীর্তি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়তেও। তাজ্জব নেটবাসীও।

জানা যাচ্ছে, বছর ১৪ আগে সঞ্জীব দীক্ষিতের সঙ্গে বিবাহ হয় প্রিয়াঙ্কার। কিন্তু বিয়ের পরেই প্রিয়াঙ্কা জানতে পারেন অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর স্বামীর। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের বিয়ের আগে থেকেই বোনের এক বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সঞ্জীবের। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই প্রিয়াঙ্কাকে ছেড়ে প্রেমিকা পুষ্পাঞ্জলির সঙ্গে থাকা শুরু করেন সঞ্জীব। প্রিয়াঙ্কা প্রতিবাদ করলেও শ্বশুরবাড়ির কেউ তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ সকলেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাঁর থেকে। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে বৈবাহিক সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

দীর্ঘ দিনের মানসিক অশান্তির জেরে দশেরার দিন শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রিয়াঙ্কা। সেই মত শ্বশুরবাড়ির ঠিক সামনে নিজের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদের কুশপুত্তলিকা দহনের ব্যবস্থা করেন। পর পর তিনটি কুশপুত্তলিকা দাঁড় করিয়ে তাতে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ছবি লাগিয়ে তা জ্বালিয়ে দেন তিনি। দশেরায় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কুশপুত্তলিকা দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে মনের জ্বালা মেটান প্রিয়াঙ্কা।

তাঁর সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দারস্তও হয়েছেন মহিলা। সরকারের কাছে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানান তিনি। হতাশা প্রকাশ করে প্রিয়াঙ্কা জানান, 'সরকার 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' উদ্যোগ গ্রহণ করছে ঠিকই কিন্তু এখনও আমার মত শিক্ষিত মেয়েদের সুরক্ষার জন্যে লড়াই করে দেতে হওঁয়'।