Vaccine | Representational Image | (Photo Credits: Flickr)

কোভিড প্রতিষেধক (Coronavirus Vaccine) প্রয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দেশজুড়ে; টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ৭ জন, এদের মধ্যেই মৃত্যু হয় ২ জনের। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মোরদাবাদের বাসিন্দা মাহিপাল সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে ১৭ জানুয়ারি। রিপোর্ট বলছে, ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ভ্যাক্সিন (Covaxin) নেওয়ার পরই প্রয়াত হয়েছেন। পরিবেশ এবং কল্যাণ মন্ত্রকের যুগ্ম সভাপতি চিকিৎসক মনোহর আগনানি বলেন, "ব্যক্তির মৃত্যুর পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখতে ৩ চিকিৎসকের একটি দল গঠিত হয়েছে। চিকিৎসকদের মত, কার্ডিওপালমোনারি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ভ্যাক্সিনের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।" দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা নিচ্ছেন শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার পর এবার সতর্কতা জারি করল ভারত বায়োটেক।

টিকা নেওয়ার পরে কর্নাটকের বেল্লারিতে ৪৩ বছর বয়সী নাগরাজুর মৃত্যু হয়েছে। কর্ণাটক রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ছিলেন নাগরাজু, ১৮ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। করোনার টিকা দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে তৃতীয় দিনের হিসাবে ৩.৮ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৫৮০ জনের শরীরে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ২ জনের; এরপরই ভারত বায়োটেক একটি ফ্যাক্ট শিট প্রকাশ করেছে। যাঁদের শরীরে রক্তপাত জনিত সমস্যা রয়েছে কিংবা অসুস্থ, কিংবা কোনও অ্যালার্জি ছিল শরীরে; তাঁরা করোনা প্রতিষেধক এড়িয়ে চলুন। অন্তঃস্বত্তা মহিলাদেরও করোনা টিকা এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

যদি কোনও ব্যক্তির শরীরে করোনার লক্ষ্ণণ দেখা যায়, তাহলে আরটি-পিসিআর টেস্টের পরই তাঁকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে; ফ্যাক্ট শিটে উল্লেখ রয়েছে এই তথ্যের। ভারত বায়োটেকের তরফে বিবৃতি, ‘‘সামান্য একটি ঝুঁকি থাকছে ভারত বায়োটেকের টিকায়, যেটিতে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। নি:শ্বাস নিতে কষ্ট, গলা বা মুখ ফুলে যাওয়া, সারা মুখে-গায়ে ব়্যাশ বেরোনো, ঝিমুনি এবং দুর্বলতা দেখা দেওয়া। শরীর দুর্বল হতে পারে। শরীরে যন্ত্রণা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ফুলে যাওয়া, চুলকুনি, মাথাব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাবও কোভ্যাক্সিনের প্রতিষেধকের সাইড এফেক্টের মধ্যে পড়তে পারে।’’ এছাড়া আরও বলা হয়েছে, "যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, কিংবা কোনও ওষুধ খাচ্ছেন তাদের কোভ্যাক্সিন এড়িয়ে চলাই উচিত।" এছাড়াও জ্বর, রক্তপাতের সমস্যা, অস্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা-সহ কোনও গুরুতর শারীরিক সমস্যা থাকলে কোভ্যাক্সিন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

তৃতীয় ট্রায়ালে এখনও পরীক্ষারত কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধক। পরীক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই কেন ছাড়পত্র দেওয়া হল, সেটি নিয়ে চাপানোতর চলছে। ৫৫ লাখ কোভ্যাক্সিন ডোজ এখনও পর্যন্ত তৈরি করেছে সরকার, যেটি ১২টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।