দামোহ, ২৪ এপ্রিল: বুধবার রাতে মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার (Damoh District) একটি গ্রামে ২১ বছর বয়সী ব্যক্তি সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় জেলা পুলিশ প্রধান হেমন্ত চৌহান। তিনি জানান, ধর্ষণকারী শিশুটিকে সনাক্ত করা আটকাতে তার চোখ খুবলে নেওয়ার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় অভিযুক্ত শচীন সেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ প্রধান। তিনি বলেছেন, মেয়েটির চোখ নিরাপদ রয়েছে এবং সে সন্তোষজনক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ টুইট করে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার ভেঙে দেওয়ার জন্য দাবি করেন। লকডাউনের মধ্যে এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন কমলনাথ। তিনি বলেন, এমন জঘন্য অপরাধ এমন সময়ে সংঘটিত হচ্ছে যখন মানুষ তাদের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য এমনকি বাইরে বেরোনোরও অনুমতি পায় না। গত এক সপ্তাহে এই নিয়ে তৃতীয়বার ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটল। ১ এপ্রিল, একজন ৫৩ বছর বয়সী অন্ধ ব্যাংক কর্মচারীকে এক যুবক ধর্ষণ করে। যদিও পুলিশ সম্ভাব্য সন্দেহভাজনদের একটি তালিকা তৈরি করেছিল, তবুও তারা কোনও করোনা লকডাউন অঞ্চলে লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। পুলিশ কোনও সংক্রমিত অঞ্চলে যেতে পারবে না বলে জানায়।
আরও পড়ুন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ৫৮, বাংলায় দীর্ঘ হচ্ছে সংক্রমণের ছায়া
দামোহ ঘটনায় অপরাধী মেয়েটির মুখে আঘাত করে।মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে জানান, পুলিশ তাকে গুরুতর অবস্থায় জবলপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় যেখানে তার চোখের অপারেশন করা হয়। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে জাবেরার পুলিশকে বিষয়টি জানানোর আগে তার পরিবার মাঝরাত পর্যন্ত তার সন্ধান করে, শিশুটির হাত-পা বেঁধে প্রায় ৫০ মিটার দূরে একটি জরাজীর্ণ বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়।
শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, "পুলিশকে খবর দেওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটিকে জাবেরার তহসিলের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখান থেকে তাকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবার জন্য জবলপুর নেওয়া হয়।" জাবেরার বিধায়ক ধর্মেন্দ্র সিংও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।