SIR: তামিলনাড়ুতে এসআইআর বা নিবীড় ভোটার তালিকা সংশোধন (Special Intensive Revision) নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এসআইআর নিয়ে সবচেয়ে বিরোধিতা যে দল করছে, সেই ডিএমকে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ। নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নির্বাচন তালিকা সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে গেল তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে (DMK)। এসআইআর-এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া নিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের (MK Stalin)-এর দলের সাফ বক্তব্য, ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার তালিকা থেকে বৈধ লক্ষ লক্ষ নাম মুছে ফেলার আশঙ্কা থেকেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্টালিনের এই ইস্যুতে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন। অভিষেক বলেন,"এই ইস্যুতে আমাদের দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে, তবে আমি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। এখানে মানুষ মরছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য তাঁর হাতে রক্ত লেগে আছে।"তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের অভিযোগ, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে লক্ষাধিক ‘আসল’ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আগামিকাল, মঙ্গলবার থেকে SIR চালু হচ্ছে দেশের ১২টি রাজ্যে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরালা, পুদুচেরি সহ ৫টি নির্বাচনী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছর ৭ ফেব্রুয়ারি।
গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই: স্ট্যালিন
মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনের সাফ অভিযোগ, এসআইআরের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংসের চেষ্টা। সত্যিকারের ভোটারদের নাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। বিহারে যেমনটা হয়েছে, এবার তামিলনাড়ুতেও একই কৌশল করা হয়েছে।" স্টালিন বলেন, "SIR হল নতুন ধরনের রাজনৈতিক প্রক্সি যুদ্ধ। নির্বাচন কমিশন বিজেপির পুতুল হয়ে কাজ করছে।”তিনি আরও দাবি করেন, "সুপ্রিম কোর্টই এখন একমাত্র ভরসা। গণতন্ত্রকে রক্ষা করার শেষ লড়াই।”কেরালায় বাম সরকার ইতিমধ্যেই SIR-এর বিরুদ্ধে 'রেজোল্যুশন পাস'করেছে।
SIR-এ বৈধ ভোটারদের নাম যাতে বাদ না যায়, তা নিয়ে এককাট্টা বিরোধীরা
গতকাল, রবিবার চেন্নাইয়ে ৪৯টি বিরোধী দলকে নিয়ে বৈঠক। কংগ্রেস, বামদলগুলি, এমডিএমকে, কমল হাসানের এমএনএমসহ অধিকাংশ বিরোধী দল সেখানে উপস্থিত ছিল। SIR বাতিল না হলে যৌথভাবে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জাাননো বলে বলে ঠিক করা হল। এবার ডিএমকে এই বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল।