পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ৩ অক্টোবর: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চতুর্দিকে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বদ্ধ পরিকর ওড়িশা সরকার। মূলত ১২-শো শতকের এই স্থাপত্যকে সুরক্ষিত করতেই এহেন পদক্ষেপ। তবে ভাঙচুরের কাজ শুরুর আগে শংকরাচার্য (Shankaracharya) ও পুরোহিতদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করে নিক রাজ্য। বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালত ওড়িশা সরকারকে এমনই নির্দেশ জারি করেছে। গত আগস্টেই পুরীর জেলা প্রশাসন জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া বিভিন্ন বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করে। এরপরেই বিভিন্ন মহল থেকে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়। জগন্নাথ মন্দিরের চারপাশের (Shree Jagannath Temple area) বেআইনি নির্মাণ ভেঙে গোটা এলাকাটি হেরিটেজ সিকিওরিটি এলাকা (Heritage Security Zone) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই সরকারের লক্ষ্য।

রাজ্য সরকার এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যা দিয়ে শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণের কাজ হবে। সেই সঙ্গে মন্দির থেকে ৭৫ মিটারের মধ্যে যত নির্মাণ আছে তা ভেঙে ফেলা হবে। এরপরেই ওড়িশা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিচারপতি অরুণ মিশ্র-সহ তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। এই ধংসযজ্ঞের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তাদের দাবি, জগন্নাথ মন্দিরের দেওয়ালের বাইরে অন্তত ১২টি বড় মঠ ও মন্দির রয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞ সাধিত হলে এসব গুঁড়িয়ে যাবে। এছাড়াও ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের দোকানপাট বাড়িঘর, এমনকী বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের অফিস, মন্দিরের জনসংযোগ অফিস ও পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। আরও পড়ুন-কালো যাদু সন্দেহে ৬ প্রৌঢ়ের দাঁত ভেঙে খাওয়ানো হল মলমূত্র, ওড়িশাতে চাঞ্চল্য

রঘুনন্দন লাইব্রেরির সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik)। সব মিলিয়ে ওড়িশা সরকার তিনটি বড় মাপের সংস্কারের ব্যবস্থা করেছে। এরমধ্যে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরও রয়েছে। জগন্নাথ মন্দিরের চারপাশে থাকা বাড়ি ঘর দোকানপাট এসব উঠিয়ে দিলে তারা তো সব পথে বসবে। তবে তেমনটা চায় না সরকার। সেকারণে এদের পুনর্বাসনের জন্য ও জগন্নাথ মন্দিরের চারপাশে সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য় ৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।