ফাইল ফোটো (Photo: PTI)

গোয়া, ২০ অক্টোবর: মানুষ বিপথে যেতে পারে। তার জন্য তাদের স্কুলে পাঠানো হয়। ছেলে-মেয়েদের বিপথে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে বাবা-মায়েরা চেষ্টার কমতি রাখেন না। তবে শুনেছেন বিপথগামী গবাদি পশুর (Stray cattle) কথা। বিশ্বাস না হলেও এটাই বাস্তব। কারণ এই দাবিই করেছেন গোয়ার (Goa) এক মন্ত্রী। যে কারণে তিনি বিপথগামী পশুদের জন্য পশু চিকিৎসকদের ডেকে পাঠিয়েছেন। কারণ, গবাদি পশুরা ভেজ ছেড়ে নন-ভেজ (non veg)খাওয়া শুরু করেছে। গোয়ার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মাইকেল লোবো (Michael Lobo) বলেন, "বিপথগামী গবাদি পশুদের সঠিক পথে ফেরাতে পশু চিকিৎসকদের ডেকে আনা হচ্ছে। কারণ নিরামিষ খাবার ছেড়ে মুরগির মাংস এবং ভাজা মাছ খাচ্ছে যে সব গবাদি পশু, তাদের আবার নিরামিষভোজীতে পরিণত করতে হবে।" মন্ত্রী আরও জানান, কলাঙ্গুট গ্রামের বিপথগামী ৭৬টি গবাদি পশুকে গো শালায় পাঠানো হয়েছে। কারণ তারা নিরামিষ খাবার খাচ্ছিল না। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শনিবার উত্তর গোয়ার আরপোড়া গ্রামে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, "আমরা কলাঙ্গুট থেকে ৭৬টি গবাদি পশুকে গোশালায় নিয়ে গেছি। যেখানে তাদের দেখাশোনা করা হচ্ছে। এই গবাদি পশুগুলি মাংশাসী হয়ে গেছিল। আমরা সবসময় বলি গবাদি পশু নিরামিষ। তবে কলাঙ্গুটের গবাদি পশুগুলি নিরামিষভোজী নয়। এই গবাদি পশুরা ঘাস খায় না, ছোলাও খায় না।" তিনি আরও বলেন, "গোশালায় গবাদি পশুদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। পশু চিকিৎসকরা তাদের ওষুধ দিচ্ছেন। গবাদি পশুগুলিকে আরও একবার নিরামিষভোজী করে তুলতে ৪-৫ দিন সময় লাগবে।" আরও পড়ুন: ক্যারি ব্যাগের জন্য গ্রাহকের থেকে টাকা নেওয়ায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা জরিমানা বিগ বাজারের

মন্ত্রী বলেন, "দেখা গেছে যে গবাদি পশুরা ময়লা-আবর্জনা থেকে মুরগির মাংস এবং ভাজা মাছ খাচ্ছে। অনেক সময় গ্রামবাসীরাও এই সব খাবার দিচ্ছে। গবাদি পশুগুলি রেস্তরাঁ থেকে মুরগির মাংসের অবশিষ্ট এবং বাসি ভাজা মাছ খাচ্ছে। নিরামিষভোজীদের এই খাবার খাওয়ার কারণে এরা খাদ্য প্রক্রিয়া মানুষের মতো হয়ে গেছে। আগে এরা খাঁটি নিরামিষাভোজী ছিল।" লোবো আরও বলেছিলেন যে মোটরবাইক দুর্ঘটনা ও রাস্তায় যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল এই গোরুগুলি। এ নিয়ে অভিযোগ আসছিল।