দিল্লি, ২৫ জুলাই: হরিয়ানায় আটক করা হয় বাংলাভাষী (Bengali) যুবককে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁও-এর (Bongaon Man) বাসিন্দা নাজমুলকে আটক করা হয় হরিয়ানায় (Haryana)। নাগরিকত্বের সমস্ত নথি জমা করার পরও নাজমুল নামের ওই বনগাঁওয়ের যুবককে হরিয়ানায় আটক করা হয় বলে খবর।
রিপোর্টে প্রকাশ, গত ৪ মাস আগে নাজমুল নামে ওই যুবক বাংলা ছেড়ে হরিয়ানায় পাড়ি দেন। হাউসকিপিংয়ের কাজ করতেই নাজমুল বনগাঁও থেকে হরিয়ানায় যান। সঙ্গে বাবা, মাকেও নিয়ে যান। হরিয়ানায় গিয়ে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠার করে ১৯ জুলাই নাজমুলের ভাগ্য বদলে যায়। ওইদিনই নাজমুলের শান্ত জীবনে কার্যত ঝড় ওঠে।
নাজমুলের কথায়, ১৯ জুলাই পুলিশ তাঁর হরিয়ানার আশ্রয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সমস্ত কাগজপত্র দেখতে চায়। তাঁর সমস্ত নথিপত্র, কাগজ সমস্ত কিছু দেখানো হয়। তা সত্ত্বেও পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানান নাজমুল।
এরপর থানায় নিয়ে না গিয়ে একটি গাছের নীচে তাঁকে বসানো হয়। ওই গাছের নীচে বসিয়েই শুরু হয় পুলিশের প্রশ্নত্তোরের পালা। কবে তিনি বাংলাদেশ (Bangladeshi) থেকে ভারতে (India) এসেছেন বলে পুলিশ তাঁকে প্রশ্ন করে। যা শুনে আকাশ থেকে পড়েন নাজমুল। তিনি বলেন, তাঁর জন্ম এ দেশে। তিনি ভারতীয় নাগরিক। তা সত্ত্বেও পুলিশ কেন তাঁকে ওই ধরনের প্রশ্ন করতে শুরু করে, তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন নাজমুল।
রাতে নাজমুলের বাবা যান ছেলের সঙ্গে দেখা করতে। নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ নাজমুল যে সমস্ত নথির জেরস্ক দেখিয়েছিলেন, তার সব অরিনিজিনাল কাগজপত্র নিয়ে তাঁর বাবা যান। তবে ছেলের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকী ২০ জুলাই সকাল পর্যন্ত নাজমুলকে কিছু খেতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন বনগাঁওয়ের ওই যুবক।
নাজমুলের পরিবার এরপর বনগাঁও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ২১ জুলাই বনগাঁও পুলিশ খবর পায়। বনগাঁও পুলিশের তরফে এরপর উপযুক্ত কাগজপত্র পাঠানো হয় হরিয়ানা পুলিশকে। বনগাঁও পুলিশের পাঠানো কাগজপত্র দেখে অবশেষে নাজমুলকে ২২ জুলাই ছাড়ে হরিয়ানা পুলিশ।
তবে ছাড়া পেয়েও স্বস্তিতে নেই নাজমুল। তিনি বলেন, যা হল, তা যদি আবার হয়, তাহলে তিনি কী করবেন। প্রত্যেকবার এভাবে তাঁর নিজেকে এ দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় করানো পুলিশের কাছে সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর ভবিষ্যত এবার কী হবে বলেও প্রশ্ন তোলেন নাজমুল।