লখনউ, ৩ এপ্রিল: এবার তবলিকি জমাতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানালো বরেলির দরগা আলা হজরতের শিয়াপন্থীরা। যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে দেশে ঠিক সেসময় দিল্লির নিজামু্দ্দিনে তিনদিন ধরে চলল তবলিকি জমাত। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ও বিদেশ থেকে বহু মুসলিম ধর্মপ্রচারে এলেন। এই ঘটনায় মারণ রোগ করোনার সম্ভবনা যে আরও বেড়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এদিকে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী মহসিন রাজা তবলিকি জমাতকে চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান ওয়াসিম রিজভি-র (Waseem Rizvi) দাবি তবলিকি জমাত আত্মঘাতী বোমার তৈরি করল। এই সব সংগঠন দেশ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানালেন দুই নেতা।
যোগী সরকারের একমাত্র মুসলিম মুখ মন্ত্রী মহসিন রাজা বলেন, “একটি কট্টরপন্থী সংগঠন ভারতী বিরোধী আচরণ করছে এমন একটি সময়ে যখন গোটা দেশ কোভিড-১৯ তাড়াতে একযোগে লড়ছে। সংগঠনটি সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে ধর্মসভা করেছে। সংগঠনটির আন্ত্রাজতিক অর্থায়নের পথটি ভাল করে খতিয়ে দেখা উচিত। সেই সঙ্গে অবশ্যই যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা উচিত।” আগেই রিজভি অভিযোগ করেছেন যে, তবলিকি জমাত ইচ্ছে করে তার সমর্থকদের করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত করেছে। তারপর ভারতের প্রতিটি কোণে কোণে তাদের ছড়িয়ে দিয়েছে। যাতে দেশের মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। তিনি মন্তব্য করেন, এই ধরনের মানসিকতার মানুষের মৃত্যুই যোগ্য শাস্তি। এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। আরও পড়ুন-Odisha CM Naveen Patnaik: ভাড়াটিয়াদের থেকে ৩ মাস টাকা নেবেন না, বাড়িওয়ালাদের আবেদন করলেন নবীন পট্টনায়েক
উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্য সর্দার পরবিন্দর সিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক চিঠিতে জানিয়েছেন, নিজামুদ্দিন মার্কাজের তবলিকি জমাতের কনভেনর মৌলানা সাইদের বিবৃতি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে পারে। তিনি বলেন, “সরকার ৫০ জনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছিল। তবলিকি জমাত দিল্লি ও কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ অমান্য করেছে। তারা সরকারের নিষেধ লঙ্ঘন করেছে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। নিরপরাধ মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। জাতীয় স্তরে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।”