Bihar Assembly Elections 2020:  ভোটে জিতলে ১০ লাখ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি তেজস্বী যাদবের
তেজস্বী যাদব (Photo Credits: ANI/File)

মাসাউধি, ২২ অক্টোবর: বিহারের ভাগ্য নির্ধারণের দিন সমাগত। রাজ্যের আমজনতা যদি ভোট দিয়ে ক্ষমতায় ফেরায় তাহলে ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে। নির্বাচনী জনসভা থেকে এই প্রতিশ্রুতি দিলেন আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। লালুপ্রসাদ পুত্রের এই লোভনীয় প্রতিশ্রুতিই আরজেডি ও মহাজোটের নির্বাচনী বক্তৃতা শুনতে বিহারের আমজনতাকে ঘর থেকে টেনে বের করবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আরজেডি প্রার্থীর হয়ে বুধবার মাসাউধিতে প্রচারে যান তেজস্বী যাদব। জনসভাতে যেন জনতাল ঢল নেমেছিল। উপচে পড়া মানুষের ভিড়ে পুলিশি ব্যারিকেড যেন ধুলোর মতো উড়ে গেল। কেউ কেউ পুলিশি বাধা অতিক্রম করে মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। সেসব দেখে তেজস্বী পুলিশকর্মীদের অনুরোধ করেন যেন ওই ব্যক্তিকে মঞ্চে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়।

পাটনা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই মাসাউধি। সেখানকার স্থানীয় যুবক রাহুল শর্মা বলেন, “সরকারি সেক্টরে ১০ লাখ চাকরির ঘোষণা জনগণের মনে বিরাট আশার সঞ্চার করেছে। স্বাভাবিকভাবেই সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ তেজস্বী যাদবকে দেখতে এই জনসভায় ভিড় করেছে।” আরও একজন স্থানীয় রমেশ সাগর বলেছেন, “নীতীশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রীত্বে বিহারের গরিব মানুষ আরও গরিব হয়েছে। কর্মহীনের সংখ্যা বেড়েছে। মাইগ্রেশন নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ জমেছে। নীতিহীন রাজনীতির কল্যাণে মানুষের দুরবস্থা বেড়েই চলেছে। লালুপ্রসাদ যাদবকে বিহারের মানুষ খুব ভাল করে চেনে। সুতরাং তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে তেজস্বী যাদবকেই দেখতে চান বিহারের জনতা। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে দেশের মানুষ পরিবর্তন আশা করেছিল। বিহারের মানুষও এবার তেজস্বীর হাত ধরে পরিবর্তন চায়। এখন এটাই দেখার শেষপর্যন্ত এই শাসনও যেন জুমলায় বদলে না যায়।” আরও পড়ুন-West Bengal Weather Update: ষষ্ঠী থেকেই ঝড় বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ, উপকূলবর্তী এলাকায় মোতায়েন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

মাসাউধির বাসিন্দা রোশন পাসওয়ান বলেছেন, “নীতীশ কুমারের নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে বিহারের মানুষ। বিজেপির বিরোধিতা করেই ভোটে জিতেছিলেন তিনি। পরে কিনা নিজের কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সেই বিজেপির সঙ্গেই হাত মেলালেন তিনি। তিনি মানুষের নির্বাচনকে পাশে সরিয়ে রেখেছিলেন। এ সম্পর্কে বিহারের মানুষ ওয়াকিবহাল। স্বাভাবিকভাবেই বিহারবাসীর কাছে তিনি আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য বিশ্বাসী ব্যক্তি নন।”  এই প্রসঙ্গে পুনপুন এলাকার বাসিন্দা শ্রীকৃষ্ণ শর্মা বলেছেন, আমরা পরিবর্তনের মুখ হিসেবে তেজস্বী যাদবকে দেখতে চাই। প্রান্তিক মানুষরা তাঁর মধ্যেই আশার আলো খুঁজে পাচ্ছেন।