কলকাতা, ২২ অক্টোবর: বিক্ষিপ্ত নয়, বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ষষ্ঠী অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার থেকে অষ্টমী মানে শনিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতে (West Bengal Weather Update) ভিজতে চলেছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর। আলিপুরের হাওা অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতি থেকে শনিবার দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোরো হাওয়া। একইভাবে শুক্রও শনিবারে কলকাতা, হাওড়া হুগলিতে ৩০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। এই ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের ফলে শহর কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ ক্রমশ সরে আসছে উপকূলের দিকে যা মৎস্যজীবীদের জন্য যথেষ্ট চিন্তার কারণ হতে পারে।
সমুদ্র উত্তাল হওয়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত যারা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা ইতিমধ্যেই সমুদ্রে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁদের বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দিঘা, মন্দারমণি, সাগরদ্বীপ ও শংকরপুরে সমস্ত রকম উপকূলবর্তী কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্র শনিবার সুন্দরবন উপকূলে ফেরি পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছে। আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহত ও ক্ষতি থেকে এখনও সামলে উঠতে পারেনি রাজ্য। এদিকে মহামারীর মরশুমে আর বিপর্যয় ছড়াক তা চায় না প্রশাসন। একেই দুর্গাপুজো তায় যদি ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় তাহলে বিপর্যয় বাড়তে পারে। তাই আগেভাগেই উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ ও পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘাতে পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বিপর্যয় রুখতে যাবতীয় বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের কাছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা গিয়েছে যে পুজো উদ্যোক্তাদের আগের থেকে সতর্ক করুন যাতে তাঁরা মণ্ডপের ক্ষতি রুখতে আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে পারেন। আরও পড়ুন-AstraZeneca-Oxford COVID-19 Vaccine: ফের ভ্যাকসিন বিপর্যয়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীর মৃত্যু ব্রাজিলে
অন্যদিকে তবে উত্তরবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার-সহ বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।