উত্তর কাশীর কেদার ঘাট। (ছবি: ANI)

কাশী, ১ জুন: উত্তর কাশীর কেদার ঘাটে (Kedar Ghat, Uttarkashi) একদল কুকুরের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা বিরক্ত হন। অনেকের সন্দেহ হয় এতগুলো কুকুর ঘাটের ধারে কী খাচ্ছে। ঘাটের ধারে গিয়ে কুকুরদের মাংস খাওয়া দেখে সবাই তাজ্জব! এ কী এতো মৃত মানুষের মাংস! প্রশাসনে খবর দেন স্থানীয়রা। স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ কেদার ঘাটের পাশেই নাকি শ্মশানে পোড়ানো হচ্ছে কোভিড মৃতদেহ। সেই দেহগুলো অর্ধেক পোড়া অবস্থাতেই ঘাটের ধারে এসে জমা হচ্ছে। আর সেগুলোকেই ছিঁড়ে ছিঁড়ে কুকুরে খাচ্ছে। আরও পড়ুন: চিনে হঠাৎই বাড়ছে করোনা, কোথাও কোথাও জারি লকডাউনও

স্থানীয়দের কাছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করে ফের ওই কোভিডের কারণে অর্ধদগ্ধ মৃতদেহগুলো পোড়ানোর ব্যবস্থা করে স্থানীয় পুরসভার সভাপতি রমেশ সিমওয়াল। স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ক দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ, বিহারের নদীতে ৭১টি মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে গোটা দেশে ঝড় বয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছিল, কোভিড দেহ এভাবেই ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা কম করে দেখানোর জন্য বা নেহাতই অবহেলা করে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও বড় খবর হয়। সেই রেশ মিটতে না মিটতেই সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরের এক ভিডিও নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পিপিই কিটপরা এক ব্যক্তি নদীতে মৃতদেহ ছুঁড়ে ফেলছেন। পিপিই পরা ব্যক্তিকে উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরের কাছে রাপ্তি নদীতে মৃতদেহ ফেলতে সাহায্য করছেন একজন। তিনি সাধারণ পোশাকেই আছেন। গত শুক্রবার ঘটে এমন ঘটনা। ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা যায়, দুজনে মিলে মৃতদেহ ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ফেলছেন।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, মৃত ব্যক্তি সিদ্ধার্থনগরের বাসিন্দা প্রেমনাথ (Premnath)। গত ২৫ মে করোনা পজেটিভ হয়ে বলরামপুরের এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত ২৮ মে করোনা পজেটিভ প্রেমনাথ এরপর নানা শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যান। এরপর বলরামপুর হাসপাতাল কোভিড প্রোটোকল মেনেই প্রেমনাথের দেহ তাঁর আত্মীয়দের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু শেষকৃত্য করার বদলে গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে মাঝপথে কোভিডে প্রয়াত প্রেমনাথের দেহ নদীতে ফেলে দেয় তাঁর আত্মীয়রা।