Image used for representational purpose | (Photo Credits: PTI)

ভোপাল, ৮মে: প্রেমে প্রত্যাখানের আগুন জ্বলে চলে গেল সাত-সাতটা প্রাণ। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি বাড়িতে সাত জনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য পড়ে যায়। তদন্তে নেমে এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনা বুঝতে পারে পুলিশ। ঘটনার মূল অভিযুক্ত শুভম দীক্ষিত (সঞ্জয়)-কে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ধরে পুলিশ। দেখা যায় ওই অভিযুক্ত শুভম নিজের স্কুটি থেকে তেল ঢেলে বাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে, আর তারপর নিজের গাড়িতেও সে আগুন লাগায়। তারপর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোয়া বিল্ডিংয়ে। শট সার্কিটের ফলে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আগুন লাগা বাড়িটি থেকে বাঁচাও বাঁচাও আর্তনাদ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন অনেকে। পুলিশ, দমকল বাহিনী এসে সেই বাড়িটি থেকে ৭টি ঝলসে যাওয়া মরদেহ ও ৯ জনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে।

পুলিশের জেরার মুখে সেই ব্যক্তি বলেন, এক মহিলা প্রেমের প্রত্যাখান করায় রাগ থেকেই তিনি তাঁর স্কুটিতে আগুন ধরাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আগুনের ফল যে এত মারাত্মক হতে পারে তা নিয়ে ভাবতেও পারেননি। কিন্তু কেন তিনি আগুন লাগাতে লেগেন? আসলে সেই বড় বাড়িটিতে একটি মেয়ের ক দিন আগে এনগেজমেন্ট হয়। আগুন লাগিয়ে ৭জনকে মারা মূল অভিযুক্ত ছেলেটি ওই মেয়েটিকে ক মাস আগে পাঠিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আরও পড়ুন: কাছ থেকে ছবি তুলতে গিয়ে চিতাবাঘের হামলার মুখে, জখম অসমের যুবক

কিন্তু মেয়েটি তাতে রাজি হয়নি। এদিকে, ছেলেটির দাবি সেই মেয়েটি তার কাছে ১০ হাজার টাকা নেয়। মেয়েটির এনগেজমেন্টের পর ছেলেটি সেই টাকা ফেরত চাইে, মেয়েটি তা দিতে অস্বীকার করে। এরপরই ছেলেটি স্কুটি চালিয়ে এসে, সেখান থেকে তেল নিয়ে চারিদিকে আগুন লাগিয়ে দেয়। মেয়েটি ও মেয়েটির মা-কে গুরুতর আহত অবস্থায় আগুন লাগিয়ে যাওয়া বাড়িটিতে থেকে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মূল অভিযুক্ত শুভমকে ধরতে বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকে।