নয়া দিল্লি, ৩১ জুলাই: ক দিন ধরেই দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে রেলের অন্তত তিন লক্ষ কর্মচারীকে ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট নিয়ে নিতে বলা হতে পারে। সংস্কারের পথে হেঁটে ভারতীয় রেল নাকি সবার আগে তাদের কর্মচারীদের পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখতে পারে। কোনও কর্মচারীর বয়স ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলেই তাঁর কাজের মান খতিয়ে দেখা হবে।
পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হলেই অবসর নিতে বলা হতে পারে সেই কর্মচারীকে। বিগত দু’দিনে খবর ছড়িয়েছিল নতুন নিয়োগ দূরে থাক, রেলের স্বাস্থ্য ফেরাতে পুরনো কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছেন রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়াল। এমন খবরের পর তোলপাড় পড়ে যায়। আরও পড়ুন-৩ লক্ষ কর্মচারীর চাকরী তো যাচ্ছেই না, বরং আরও যত সংখ্যক লোক নিয়োগ হবে বলে জানাল ভারতীয় রেল
সময় যত যায় রেলের ৩ লক্ষ কর্মীর চাকরী যাওয়ার খবরে তত আরও তথ্য আসতে শুরু করে। বলা হয়,৫৫ বছরের ওপরে এবং ২০২০-র মধ্যে ৩০ বছর চাকরি করা হয়ে যাবে এমন কর্মচারীদের তালিকাও নাকি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আন্ডার পরফরমারদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। গত ২৭ জুলাই এই চিঠি পাঠানো হয় বলে খবর। ৯ আগস্টের মধ্যে রেল মন্ত্রক এবং রেল বোর্ডের কাছে এই রিপোর্ট পাঠাতে হবে। সমস্ত কর্মচারীদের পারফরমেন্স রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে সেখানে। রেলে কর্মী ছাঁটাইয়ের উদ্যোগের প্রতিবাদে সরব হয়েছিল বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নগুলি।
তবে শেষ অবধি সব আশঙ্কা উড়িয়ে ভারতীয় রেল জানিয়ে দেয় কর্মী ছাঁটাইয়ের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। কর্মী ছাঁটাই তো দূরের কথা কর্মী ছাঁটাই তো দূরের কথা বরং আরও নতুন নিয়োগ হতে চলেছে বলে জানানো হয়। আগামী দুমাসের মধ্যে ১,৪১,০৬০ জনকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ হবে। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে রেলের নানা বিভাগে ১,৮৪,২৬২ জন কর্মী নিয়োগ করেছে ভারতীয় রেল, এই তথ্যও দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে। সঙ্গে জানানো হয়েছে ২ লক্ষ ৮৩ হাজার, ৬৩৭টি শূন্যপদে নিয়োগের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৬০টি পদে নিয়োগের পরীক্ষাও আগামী দু’মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে।