বেঙ্গালুরুতে ওলা চালকের হাতে কীভাবে, কেন খুন হলেন কলকাতার মডেল পূজা সিং! শুনলে চমকে যাবেন
Image used for representational purpose only | (Photo Credits: PTI)

বেঙ্গালুরু, ২৫ অগাস্ট:  Kolkata model’s murder: Bengaluru Ola cabbie killed her- বেঙ্গালুরুতে খুন হওয়া কলকাতার নিউটাউনের বাসিন্দা পেশায় মডেল পূজা সিং (Puja Singh) হত্যাকাণ্ডের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। পূজা সিংকে খুনের দায়ে ওলা চালক এইচ এম নাগেশ-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মাসের শেষের দিকে বেঙ্গালুরু পুলিশ এক নিহতের দেহ শুধু ঘড়ি ও জুতো উদ্ধার করে। তা ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। এদিকে, কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে বেঙ্গালুরুতে নিখোঁজ হয়েছেন শহরের মডেল পূজা সিং। পূজার স্বামী তাঁর স্ত্রী-র খোঁজে বেঙ্গালুরুতে য়ান। এরপর পূজার জিনিসপত্রের সূত্র ধরে দুইয়ে দুই চার হয়।

পূজার মৃতদেহ শনাক্ত হয়, তার গায়ে লাগানো একটা ট্য়াটু দেখে। পুলিশ নিশ্চিত হয় পূজা সিং বেঙ্গালুরুতে খুন হয়েছেন। এরপর গড়া হয় পূজার খুনের কিনারা করার জন্য বিশেষ দল। এরপর পূজা সিংয়ের মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখার পর বোঝা যায় খুনের সঙ্গে ওলা চালক নাগেশের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু নাগেশের কোনও খোঁজ মিলছিল না বলে এই খুনের কিনারা হচ্ছিল না।

অবশেষে গত বুধবার ফাঁদ পেতে নাগেশকে ধরে ফেলে বেঙ্গালুরু পুলিশ। জেরার চাপে নাগেশ স্বীকার করে অর্থের লোভে সে পূজাকে খুন করে। কিন্তু কীভাবে, এবং কেন? আরও পড়ুন-অবরুদ্ধ কাশ্মীরে জীবনদায়ী ওষুধ শেষ হতে চলেছে, অসুস্থদের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে, রিপোর্টে প্রকাশ

নাগেশ জানায় গাড়ির EMI-এর টাকা মেটাতেই পূজাকে নিজের ট্যাক্সিতে তুলে লুটপাটের পরিকল্পনা করেছিল নাগেশ। টাকা দিতে না-চাওয়ায় তাঁকে খুন করে সে। তবে তার খুন করার পরিকল্পনা ছিল না বলে নাগেশ জানায়। তবে পূজার দামি গয়নার পাশাপাশি তাঁর কাছে থাকা কয়েক হাজার টাকা এবং ডেবিট কার্ডও লুঠ করে নাগেশ। জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে সে।

গত ৩০ জুলাই হোটেলে ফেরার জন্য ক্য়াবে উঠে ড্রাইভার নাগেশের সঙ্গে পরিচয় হয় পূজার। পরদিন বেশ সকালের দিকে তাকে বিমানবন্দরে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নাগেশকে অনুরোধ করে পূজা। ফের ক্যাব বুকিংয়ের ঝামেলা না করে, ব্যক্তিগতভাবে নাগেশের গাড়িতে বিমানবন্দরে যেতে চেয়েছিলেন পূজা। সেটাই কাল হল। হোটেল থেকে ক্য়াবে তুলে বিমানবন্দরে না গিয়ে পূজাকে মাঝ রাস্তায় ফাঁকা এলাকায় নিয়ে গিয়ে হুমকি দিয়ে অর্থ দাবি করে। পূজা চিৎকার করায় মাথায় রডের বাড়ি মেরে অজ্ঞান করে দেয় তাঁকে। জ্ঞান ফিরতেই পূজা পালাতে যান। তখন তাঁকে কুপিয়ে খুন করে নাগেশ।