উত্তর প্রদেশ, ১৮ অক্টোবর: জমি দখলের মামলায় প্রবীণ সমাজবাদী পার্টির নেতা(Samajwadi Party MP) আজম খানকে (Azam Khan) এক হাত নিলেন বিজেপি নেত্রী জয়াপ্রদা (Jaya Prada)। তিনি, “মহিলারা কাঁদছেন, তাঁদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই চোখের জল আজম খানের জন্য অভিশাপ। তিনি এখন জনসভায় কেঁদে ভাসাচ্ছেন। একটা সময় আমাকে ভাল অভিনেত্রী বলতেন। এখন নিজে কী করছেন তিনি?” গত বৃহস্পতিবার আসন্ন উপনির্বাচন উপলক্ষে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে যান আজম খান। সেখানে তিনি খুব কান্নাকাটি করে বলেন, তাঁকে নাকি ছাগল ও মুরগী চোর বলছে লোকে। ভোট আদায় করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ঠিক কী কী করতে পারেন তা নিয়ে জনমানসে স্পষ্ট ধারণা আছে। তাই পাল্টা কটাক্ষ বিজেপিনেত্রীর।
জনসভায় দাঁড়িয়ে আজম খান বলেন, রামপুরের মানুষের ভাল থাকার জন্য কীই না করিনি। এটা তো ঘটারই ছিল, আমি যেমন নিজেকে বিক্রি করে দিইনি, তেমনই রামপুরের জনগণকেও বিক্রি হতে দিইনি। মহম্মদ আলি জওহর বিশ্ববিদ্যালয় আদম খানের বিরুদ্ধে জমি দখলের মামলা দায়ের করেছে। এই মুহূর্তে ছাগল মুরগী, মহিষ, গরু থেকে শুরু করে জোর করে জমির দখল নেওয়া হুমকি দিয়ে অসহায়দের জমি থেকে তুলে দেওয়া এমন প্রায় ৭২টি অভিযোগ রয়েছে আজম খানের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের খাতায় আজম খানের উপাধি এখন জমি মাফিয়া। আরও পড়ুন-‘মনমোহন সিংয়ের উচিত নিজের দোষত্রুটির পর্যালোচনা করা, তিনি কেন ১০ জনপথের আজ্ঞাবহ ছিলেন?’ প্রশ্ন তুললেন পীযূষ গয়াল
Jaya Prada,BJP on land grab cases against SP leader Azam Khan: This is a curse of the tears women have shed because of him. He is now crying in every public meeting, he used to call me a good actress, but what is he doing now? pic.twitter.com/fPxjVlUttG
— ANI UP (@ANINewsUP) October 18, 2019
উল্লেখ্য, ২০১৬-তে নাসিমা খাতুন নামের এক বছর পঞ্চাশের মহিল আজম খানের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের করা হল। অভিযোগকারিণী মহিলা উত্তরপ্রদেশের রামপুরের ইয়াতিম খান সরাইগেট এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, ২০১৬-র ১৫ অক্টোবর তারিখে সাতজনকে সঙ্গে নিয়ে নাসিমা খাতুনের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন আজম খান। এরপর প্রায় ২৫জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিও সেখানে চড়াও হয়। সবাই মিলে তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে গয়নাগাটি-সহ তিনটে মহিষ, একটা গরু ও চারটে ছাগল (stealing goats) নিয়ে চলে যায়। এর আগে ২০১০ সালে নির্বাচনের সময় ভুয়ো বিবৃতি দেওয়ার জন্য রামপুরের সমাজবাদী পার্টির সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। শুনানির দিন তিনি আদালতে হাজির না থাকায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১-এর জি ধারায় আজম খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এসিজেএম। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি সাংসদ জয়া প্রদাকে নিয়ে কুরুচীকর মন্তব্যের জন্য আজম খানের বিরুদ্ধে আরও একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সবমিলিয়ে মোট পাঁচটি মামলায় আজম খানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।