শোভন চ্যাটার্জি-র বিজেপি ছাড়ার জল্পনায় যোগ তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার ফোন! 'পদ্ম বাগানে কানন ঝরা' নিয়ে মিডিয়ায় ব্রেকিং নিউজের ঝড়
বিজেপি-তে যোগদানের দিন শোভন চট্টোপাধ্যায়। (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ১৫ সেপ্টেম্বর: ক মাস আগে শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) তৃণমূল ছাড়ছেন, ছাড়ছেন বলে জল্পনা ছিল। এখন সেটা পরিণত হয়েছে বিজেপি (BJP) ছাড়ছেন, ছাড়ছেন জল্পনায়। গতকালই কলকাতার এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় বিজেপি ছাড়ার পথে এগিয়ে যাওয়া শোভনকে নাকি তৃণমূলে ফেরার প্রস্তাব দিয়ে ফোন করেন তৃণমূল এক শীর্ষ নেতা। শোভন-বৈশাখীর বিজেপি ছাড়ার জল্পনা নিয়ে অবশ্য শহরের মিডিয়ায় নানাসময় নানা ব্রেকিং নিউজ আসছে। যার সবগুলোকে এক জায়গায় করলে মনে হচ্ছে পদ্ম বাগানে কানন ঝরা নাকি শুধু সময়ের অপেক্ষা। যদিও শোভন আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে চান বলে খবর।

আবার তৃণমূলে এলেও তিনি যে আগের জায়গা পেয়ে যাবেন তেমন ভাবারও কোনও কারণ নেই বলে তৃণমূলের কিছু নেতা মনে করছেন। তবে এসবই জল্পনা। শোভন-বৈশাখী কী সিদ্ধান্ত নেন তা খুব তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কিছু দিন পর থেকে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র-মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দলে কোণঠাসা দেখাচ্ছিল। তৃণমূল ও প্রশাসন নানা বড় পদ পেয়ে পোড়খাওয়া হয়ে যাওয়া শোভন যেন বিজেপি-র সংগঠনে কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তো নিজের ক্ষোভের কথা মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন। দেবশ্রী রায় ইস্যুতে অসন্তোষ তো ছিলই, শোভন-বৈশাখীর ক্ষোভ দলেও তারা একেবারেই গুরুত্ব পাচ্ছেন না।  মুকুল রায় নিজে মধ্যস্থতা করেও বিশেষ লাভ হয়নি। আরও পড়ুন- হিন্দিকে জাতীয় ভাষা করার সওয়াল করায় অমিত শাহের কড়া সমালোচনা এম কে স্টালিন-র

গত ১৪ অগাস্ট বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভনের দিদির দল ছেড়ে মোদি শিবিরে যোগ দেওয়া নিয়ে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বড় খবর হয়েছিল। কিন্তু শোভেনর বিজেপি-তে যোগদান একেবারে নাটকীয় হয়ে গিয়েছেল রায়দিঘির টলিউডি তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভবনায় । তখনই শোভন সাফ জানিয়েছিলেন, দেবশ্রীর সঙ্গে এক দলে থাকতে পারবেন না। শোভন না দৈবশ্রী তা নিয়ে রাজ্য বিজেপি-র অন্দরে কিছুটা চাপাচাপি শুরু হয়। শোভনের যোগদানের দিন দেবশ্রীকে ফিরিয়ে দিলেও বিজেপি কিন্তু কাননকে চাপে রেখেছিল। এমন টানাপোড়েনে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি ছোটেন শোভন-বৈশাখী। সেখান থেকে ফিরে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সমস্যার সমাধান হয়নি।