কলকাতা, ২ নভেম্বর: উপনির্বাচনে জয়জয়কারের মধ্যেই প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় (Rabiranjan Chattopadhyay )। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। বর্ধমান দক্ষিণ ছিল তাঁর কেন্দ্র। তংকালীন শিল্পমন্ত্রী নিরূপম সেনকে পরাজিত করে এই বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়রথ সুনিশ্চিত করেছিলেন রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। সাহিত্যিক মহাশ্বেতাদেবীর পরামর্শে তাঁকে রাজনীতির মঞ্চে নিয়ে এসেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ভোটে জিতে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈবপ্রযুক্তি মন্ত্রী হন। ২০১৬-তেও জয়লাভ করেন। তবে সেবার আর মন্ত্রী হননি। আরও পড়ুন- Dhanteras 2021: ধনতেরাসে পুরীর সৈকতে বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েকের শিল্পকর্ম(দেখুন ছবি)
চলতি বছরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ নিজেই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, এবার আর ভোটে লড়বেন না। শারীরিক অসুস্থতাই যে কারণ, তা মনে করাতে ভোলেননি। বর্ধমান উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক। গত ২০-২৫ দিন আগে বিবিধ শারীরিক জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর থেকে সেখানেই কাটছিল উদ্বিগ্নের প্রহর। আজ ২ নভেম্বর বুধবার ধনতেরাসের দিন চলে গেলেন সবকিছুর ঊর্দ্ধে। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতে বিরাট শূন্যতা তৈরি হল, যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় শুধু রাজনীতিক ছিলেন তা নয়, তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন বাংলার অধ্যাপক হিসেবে পড়িয়েছেন।আদ্যন্ত গুণী, নির্বিরোধী, বিদ্যান, সজ্জন মানুষটির পরলোক গমণে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যের প্রাক্তন কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈবপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮১বছর। আমি তাঁর পরিবার পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”