Pranab Mukherjee Dies At 84: চলে গেলেন প্রণব মুখার্জি, এক যুগের অবসান
প্রণব মুখার্জি(Photo Credit-File)

প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি (Pranab Mukherjee Dies)। বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর সোমবার, ৩১ অগাস্ট দিল্লির সেনা হাসপাতালে (Delhi Army Research and Referral Hospital) ৮৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ভারতমাতার বীর সন্তান ভারতরত্ন প্রণব মুখার্জি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে। রাজনীতির জগতে এক যুগের অবসান হল আজ।

সালটা ছিল ১৯৬৯, বাবার দেখানো পথ ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ। এরপর ভারতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পেরিয়েছে, ইন্দিরা গান্ধি (Indira Gandhi) থেকে রাজীব গান্ধি (Rajib Gandhi) এবং ড. মনমোহন সিংহের সময় 'কংগ্রেস ম্যান' হিসেবে রাজনীতিতে একাধিকবার কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন বঙ্গতনয় প্রণব মুখার্জি (Pranab Mukherjee)। রাজনীতির আঙিনায় বরাবরই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্য় সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। ভারতীয় রাজনীতির 'চাণক্য়' আজও প্রণবকেই বলা হয়। আরও পড়ুন: Pranab Mukherjee: করোনা আক্রান্ত দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি

রাজনীতির সিঁড়ি বেয়ে অনেক উপরে উঠলেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে প্রণব মুখার্জির। ১৯৮৪ সালে নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে নিহত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি। এরপর দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে কে বসবেন? সেই নিয়ে নানা মহলে শুরু হয় জল্পনা। এরপর ২০০৪ সাল, ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ আসে প্রণব মুখার্জির কাছে। কিন্তু সমস্ত জল্পনা এড়িয়ে ইউপিএ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসলেন ড. মনমোহন সিংহ। অগত্যা সেই সিদ্ধান্তও মেনে নেন প্রণব। তবে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ না হলেও ইন্দিরা গান্ধি ঘনিষ্ঠ প্রণব মুখার্জি দেশের অর্থমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মত গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন।

রাজনৈতিক জীবনের একেবারে শেষ লগ্নে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বর বীরভূমে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কলেজশিক্ষক হিসেবে শুরু করেছিলেন কর্মজীবন, পরে সাংবাদিকতার কাজও করেন তিনি। এরপর রাজনীতিতে প্রবেশ, নিজের দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের কাছেও এক ব্যাতিক্রমী সম্মানের অধিকারী ছিলেন প্রণব মুখার্জি।

রবিবারের তুলনায় প্রণববাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে সোমবার। মেডিক্যাল বুলেটিনে এই তথ্যই জানিয়েছিল দিল্লির সেনা হাসপাতাল। ফুসফুসের সংক্রমণের জেরে সেপটিক শকে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ভেন্টিলেশন সাপোর্টে গভীর কোমায় আচ্ছন্ন হয়ে ছিলেন তিনি। ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়েই চলছিল তাঁর। চিকিৎসায় কোনওরকম কোনও সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। যা চিকিৎসকদের আরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হল।