নরেন্দ্র মোদি (Photo: ANI)

নতুন দিল্লি, ২০ জানুয়ারি: জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়িতে (Dhupguri) ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। মৃতদের পরিবারকে তিনি ২ লাখ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে বলা হয়েছে, "জলপাইগুড়ির দুর্ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই দুঃখের সময়ে, শোকাহত পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুক। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের আত্মীয়দের ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।"

গতকাল রাতে ধূপগুড়ি জলঢাকা ব্রিজের কাছে পাথরবোঝাই লড়ির সঙ্গে টাটা ম্যাজিক ও মারুতি ভ্যানের ধাক্কা হয়। পাথর বোঝাই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অন্তত ১০ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ও আহতরা ময়নাগুড়ির রানিরহাটের বাসিন্দা। ৩টি গাড়িতে করে তাঁরা ধূপগুড়িতে বিয়েবাড়িতে যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮-এ দুর্ঘটনাটি ঘটলে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত একটা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলার পর দুটো নাগাদ ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। জানা গিয়েছে, বিয়েবাড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়া তিনটি গাড়ির চালক দেখেন রাস্তা ফাঁকা। তাই উল্টোদিক থেকে আসা গাড়ির লেন ধরেই যাওয়া শুরু হয়। সেই সময় সঠিক লেন ধরে উল্টোদিক থেকে আসছিল পাথর বোঝাই ১০চাকার একটি ডাম্পার। আরও পড়ুন: Winter In West Bengal: আবহাওয়ার ভেলকিতে উধাও শীত, কুয়াশার চাদরে কলকাতা

কনেযাত্রীর প্রথম গাড়িটির সঙ্গে ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এর জেরে নিয়্ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্পারটি লাগোয়া ডিভাইডারে কাত হয়ে পড়ে। সেই ফাঁকে কনেযাত্রীর আর দুটো গাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করতেই ডাম্পারটি উল্টে যায় ওই গাড়িদুটির উপরেই। পাথর বোঝাই ডাম্পারের তলায় যাত্রীসমেত চাপা পড়ে কনেযাত্রীর দুই গাড়ি। ঘটনাস্থলেই ২ শিশু-সহ ১২ জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে চলে আসেন ধূপগুড়ি থানার আইসি। উদ্ধারকাজের জন্য নিয়ে আসা হয় বেশ কয়েকটি ক্রেন। দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য আরও পুলিশবাহিনী আসে। স্থানীয়দের চেষ্টায় ক্রেন দিয়ে ডাম্পার তোলার পর পাথর সরিয়ে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় রাস্তাতেই দুজন প্রাণ হারান। আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি পাঁচজন ধূপগুড়ি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডাম্পারের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।