ভ্যাকসিন (Photo Credits: Pixabay)

নতুন দিল্লি, ২৭ আগস্ট: এবার অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করবে চণ্ডীগড়ের পোস্টগ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (PGI Chandigarh)। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়ে যাবে এখানে। পোস্টগ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অনুমতি দিয়েছেন আন্তার্জাতিক নীতি কমিটি। এখন দুদিনের মধ্যে শুধু আইসিএমআর ও সেরাম ইন্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদন আসার অপেক্ষা মাত্র। এই প্রসঙ্গে একথাই জানালেন পোস্টগ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বিভাগের প্রধান তদন্তকারী মধু গুপ্তা। তিনিই সংবাদ সংস্থা আইএনএস-কে এই খবর দিলেন।

তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন যে ১৬ জন কর্মীকে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য নির্বাচন করেছে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির গতিপ্রকৃতির উপর নির্ভর করছে অনুমোদনে আদৌ সাক্ষর মিলবে কি না। সব ঠিকঠাক হলে আগামী ২ সেপ্টেম্বর এই স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে প্রবেশ করবে কোভিশিল্ড। যে ৯ জন তদন্তকারী এখানে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় রয়েছেন তাঁরা পোস্টগ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ অর্গানাইজেশনের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। কেউ জেনারেল মেডিসিন বিভাগে, কেউ মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে, কেউ প্যাথলজি বিভাগে। আবার কেউ বা পরিসংখ্যানবিদের সহকারী হিসেবে এখানে কাজ করছেন। প্রায় আড়াইশো জনেরও বেশি প্রার্থীকে পোস্টগ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ অর্গানাইজেশন ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য বেছে নিয়েছিল। অনুমোদন মিললেই এনিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হবে। আরও পড়ুন-COVID-19 Infected Atin Ghosh: করোনা আক্রান্ত তৃণমূল নেতা অতীন ঘোষ, ফেসবুকেই দিলেন সংক্রমণের খবর

গুপ্তা জানান, এতজন স্বেচ্ছাসেবককে পেতে হলে অন্তত ৩৫০ জনের স্ক্রিনিং প্রয়োজন। আমরা ২৫৩ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে কোভিশিল্ড ভ্যাকিসনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু সেজন্য আমাদের ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক চাই। যাঁদের কোভিড-১৯ ও অ্যান্টিবডি টেস্ট করার পর কাঙ্খিত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবককে নির্বাচিত করা যাবে। মূলত চণ্ডীগড় থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা আসবেন, তাই প্রয়োজন পড়লে তাঁদের পোস্টগ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ভবনে ডেকে নেওয়া সম্ভব হবে। এই ভ্যাকসিনটি চার সপ্তাহে স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রবেশ করবে দুটো ডোজের মাধ্যমে। দুই ডোজের মধ্যবর্তী ২৮ দিনের একটি সময়সীমা থাকতে হবে। প্রতিটি ডোজে থাকবে ০.৫ মিলিলিটারে ভ্যাকসিন। ২৮ দিন পরে ফের তা দেওয়া হবে। ডোজ সম্পূর্ণ হলে দুই বা তিন সপ্তাহ ধরে ওই স্বেচ্ছাসেবককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য নির্বাচিত হতে গেলে স্বেচ্ছাসেবককে বেশ কয়েকটি নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। অবশ্যই ১৮-র উপরে বয়স হতে হবে। কোনও রকম অসুস্থতা থাকলে চলবে না। তাঁরা যেন কেউ করোনাজয়ী না হন। স্বেচ্ছাসেবকের পরিবারের সদস্যদেরও কোভিড নেগেটিভ হতে হবে। করোনা নেগেটিভ না হলে কোনও স্বেচ্ছাসেবকই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি পাবেন না।