কলকাতা, ২৭ আগস্ট: এবার করোনা আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তবে মৃদু উপসর্গ থাকায় আপাতত বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, তাঁর স্ত্রীও সংক্রামিত। সুস্থ হলে ফের কোভিড রুখতে প্রশাসনের সামনের সারিতে থেকে লড়াই করবেন। ঘণ্টা খানেক আগে ফেসবুক পোস্টে এভাবেই নিজের সংক্রমণের খবর দিলেন অতীন ঘোষ (Atin Ghosh)। এদিকে মঙ্গলবারই একটি বৈঠকে যোগ দিতে অতীনবাবু পুরভবনে এসেছিলেন। পরে প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও ঘণ্টা দেড়েক বৈঠক করেন। বুধবার সন্ধ্যাতেই জানা যায়, অতীনবাবু করোনা আক্রান্ত। সূত্রের খবর, অতীন ঘোষের টেস্ট রিপোর্ট আসার পরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরভবন স্যানিটাইজড করা হতে পারে বলে খবর।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর সংস্পর্শে আসার কারণেই প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতীন ঘোষের কোভিড টেস্ট করা হয়। অনেকে বলছেন, সম্প্রতি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান প্রশাসক ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অতীন ঘোষের সংস্পর্শে আসেন। তাই ফিরহাদকেও আইসোলেশনে যেতে হতে পারে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল শিবিরের দুই বিধায়ক ফলতার তমোনাশ ঘোষ, এগরার সমরেশ দাসের মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহ দেড়েক আগেই কোভিডে আক্রান্ত হন রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল নেতা স্বপন দেবনাথ। মৃদু শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁকে বর্ধমান থেকে এনে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয়। আরও পড়ুন-Sundar Pichai: মার্কিন মুলুকে টিকটক অধিগ্রহণের দৌড়ে নেই গুগল, বললেন সুন্দর পিচাই
অন্যদিকে রাজ্যে প্রথম মন্ত্রী হিসেবে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সুজিত বসু। প্রথমে বাড়িতে থাকলেও পরে তাঁর উপসর্গ দেখা দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল সুজিতবাবুকে। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন বিধাননগরের বিধায়ক। একইভাবে জটু লাহিড়ী, দুলাল দাসের মতো বর্ষীয়ান বিধায়করা কোভিড জয় করে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরেছেন। এদিকে অতীন ঘোষের মতো নেতার করোনা সংক্রমণের খবরে তৃণমূলের অন্দরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কেননা বর্তমানে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য তিনি। তাঁর হাতেই রয়েছে কলকাতা পৌর নিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ। উপসর্গ তেমন না থাকায় উত্তর কলকাতার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আপাতত বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন।