নিয়ন্ত্রণরেখায় আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করছে পাকিস্তানি ড্রোন, অমিত শাহকে জানালেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং
ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং(Photo Credits: Twitter/@Capt_Amarinder)

চণ্ডীগড়, ২৪ সেপ্টেম্বর: নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে অস্ত্র সরবরাহ করছে পাকিস্তানি ড্রোন (Drone)। মঙ্গলবার এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। সেই সঙ্গে রীতিমতো উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি দেখার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধও জানান তিনি। নিজের টুইটার হ্যান্ডলেই এনিয়ে বিশদে লিখেছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। পাকিস্তানি ড্রোন যে নিয়মিত অস্ত্র, গোলাবারুদ সীমান্ত অঞ্চলে সরবরাহ করে তার প্রমাণ রয়েছে। ভারতে একের পর এক নাশকতা ঘটাতে সবসময় ছক কষে চলেছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। এই ড্রোনের সাহায্যে অস্ত্র সরবরাহ করার বিষয়টি পাকিস্তানের তেমনই একটি অশুভ পদক্ষেপ, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা ওঠার পরেই ফের ফন্দি আঁটতে লেগেছে ইসলামাবাদ।

কাশ্মীর যত অবহেলিত থাকবে ততই পাকিস্তানের লাভ। অধিকৃত কাশ্মীরকে ব্যাবহার করে জম্মু ও কাশ্মীরকে হাতানোর জন্য নানারকম পরিকল্পনা ছকবে পাকিস্তান। তাইতো ১৯৯০ সালের পর থেকে একের পর এক জঙ্গি হানা হয়েই চলেছে ভারতীয় ভূখণ্ডে। এদিকে সেই জম্মু ও কাশ্মীর থেকেই কি না উঠলে গেল ৩৭০ ধারা। এবার তো কাশ্মীরে ভারতের পতাকা উড়বে। চেয়েও আর সেখানে তেমনভাবে সন্ত্রাস যাপনের বন্দোবস্ত করতে পারবে না পাকিস্তান। এসব ভেবে অস্থির হয়ে উঠেছে ইসলামাবাদ, আর ফল স্বরূপ কেন্দ্রের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে রুখে দিতে সীমান্ত্র সন্ত্রাসে মদত দেওয়া শুরু করেছে. পাঞ্জাবে ভারত পাকিস্তানের মধ্যবর্তী নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অস্ত্র ফেলে যাচ্ছে পাকিস্তানি ড্রোন। সেখানেই ওঁত পেতে রয়েছে জঙ্গিরা। এই অস্ত্র পেয়েই তারা ভারতে হামলার ছক কষছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ভাবনাচিন্তা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)আর্জি জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী (Punjab CM)। আরও পড়ুন-Census 2021:‘এক দেশ এক কার্ড’ ডিজিটাল শুমারিতে আসছে মাল্টিপারপাস পরিচয়পত্র: অমিত শাহ

এদিকে গত সপ্তাহেই বায়ু সেনা ও বিএসএফকে সতর্ক করার জন্য কেন্দ্রকে ঠিক একই বিষয়ে আবেদন করেছিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (Captain Amarinder Singh)। তাঁর কাছে খবর ছিল, নিয়্ন্ত্রণরেখা বরাবর অস্ত্র ফেলবে পাকিস্তানি ড্রোন। বিষয়টিতে যদি বিএসএফ ও বায়ুসেনা নজর রাখে তাহলে সমূহ বিপদ এড়ানো যাবে। গত সপ্তাহেই পাঞ্জাব পুলিশের তরফে জানানো হয়, খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স নামের একটি জঙ্গি মডিউল বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তান ও জার্মানির সংগঠন। ইতিমধ্যেই এই জঙ্গি মডিউলটি সমগ্র পাঞ্জাব ও লাগোয়া রাজ্যগুলিতে ধর্মঘটের পরিবেশ তৈরির ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সেই সুযোগেই নিয়্ন্ত্রণরেখার উপর থেকে হামলা শুরু হবে। এই তথ্য সামনে আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানি ড্রোনের প্রসঙ্গটি নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী।