Operation Mahadev (Photo Credit: X/ANI)

দিল্লি, ২৮ জুলাই: পহেলগাম (PahalGam Terror Attack) হামলার ৩ জঙ্গি খতম। যার মধ্যে অন্যতম হাসিম মুসা (Hasim Musa) ওরফে লস্কর কমান্ডার সুলেমান শাহ ওরফে মুসা ফউজি। এই মুসার পরিকল্পনাতেই পহেলগামে হামলা চালায় লস্করের জঙ্গিরা। যেখানে ২৬ জন নীরিহ পর্যযটকের প্রাণ কেড়ে নেয় এই পাকিস্তানি জঙ্গিরা। পহেলগামের পাশাপাশি গত বছর শ্রীনগরে জ়েড-মোর টানেলে যে হামলা চালানো হয়, সেখানে ৭ জনের প্রাণ যায়। ওই হামলাতেও মূল চক্রান্তকারী ছিল এই হাসিম মুসা।

জম্মু কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir)  দারা জঙ্গলে সোমবার শুরু হয় অপারেশন মহাদেব (Operation Mahadev)। এই অপারেশন মহাদেব-এ জম্মু কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ একযোগে জঙ্গি খতম অভিযানে নামে। আর সেখানেই নিকেষ করা হয় পরপর ৩ জঙ্গিকে। লস্করের ওই জঙ্গিরাই পহেলগাম হামলায় জড়িত বলে জানা যায়। লস্কর জঙ্গিদের খতম করে তাদের কাছ থেকে ১৭ রাউন্ট গুলি, এম ৪ কার্বাইন, দুটি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। পহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানি জঙ্গিরা জম্মু কাশ্মীরের কোথাও লুকিয়ে রয়েছে। এমন খবর আগে থেকেই ছিল। পরপর ২ মাস ধরে টানা তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে ওই ৩ জঙ্গিকে ভারতীয় সেনা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন: Operation Mahadev: মহাদেবের ডমরু বাজতেই নিকেষ ৩ জঙ্গি, পহেলগাম সন্ত্রাসীদের নিকেষ করল বীর ভারতীয় সেনা, দেখুন আপডেট

কে এই লস্কর জঙ্গি হাসিম মুসা?

পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিল হাসিম মুসা। পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর চাকরি ছেড়ে লস্কর-ই-তইবায় যোগ দেয় এই হাসিম মুসা। লস্করে যোগ দেওয়ার পর মুসার সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ককে সম্পূর্ণ খারিজ করে পাক সেনা। পাকিস্তানি সেনার এসএসজি কমান্ডো পদে ছিল এই হাসিম মুসা। পাওয়া যয়া এমন তথ্যও।

পাক সেনার এক সময়ের কর্মী হাসিম মুসা প্যারা কমান্ডোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এই সমস্ত কমান্ডোরা যেমন জঙ্গলের মাঝে লুকিয়ে থাকতে সক্ষম, তেমনি নানা ধরনের উন্নত মানের অস্ত্র সামলাতেও সিদ্ধ হস্ত। ফলে পহেলগাম হামলার পর কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গলে, পাহাড়ের খাঁজে গা ঢাকা দিয়ে ছিল এই হাসিম মুসা এবং তার ২ সঙ্গী। অবশেষে অপারেশন মহাদেব-এর মাধ্যমে সেই কুখ্যাত হাসিম মুসাকে খতম করে দিল ভারতীয় সেনা।

পহেলগাম হামলা এবং হাসিম মুসা 

গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গিরা। একর পর এক করে ২৬ জন পর্যটককে খতম করা হয়। ২৬ জন পর্যটককে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানের এই জঙ্গিরা। নাম, পরিচয় জিজ্ঞাসা করে করে ওই পর্যটকদের হত্যা করা হয়। যাঁদের মধ্যে একজন নেপালি পর্যটক যেমন ছিলেন, তেমনি কাশ্মীরের একজন ঘোড়া চালকও ছিলেন বলে জানা যায়।