প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৩ নভেম্বর: চলতি মাসের শুরুর দিকেই গান্ধী পরিবারের তিন সদস‌্য সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কার গান্ধী এসপিজি নিরাপত্তা (SPG Protection) তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এখন থেকে তাঁরা পাবেন জেড প্লাস নিরাপত্তা। সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছে কংগ্রেস (Congress)। দলীয় কর্মীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বাড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। এবার শোনা যাচ্ছে, এসপিজি-র উপর কাজের চাপ কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘এসপিজি সংশোধনী বিল’ আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সামনের সপ্তাহেই সংসদে এই বিল পেশ করা হতে পারে। এই বিলটি আইনে পরিণত হলে প্রধানমন্ত্রী (PM) ছাড়া আর কেউ এসপিজি নিরাপত্তা পাবেন না। এমনকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর পরিবারের সদস্যরাও নয়।

আর্থিক মন্দা থেকে বিলগ্নিকরণ এই সব ইস্যুতেই সেই অর্থে প্রতিবাদে নামেনি কংগ্রেস। মাঝে মাঝে শুধু নামমাত্র দু-চারটে বাক্যবাজি করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন দলের একাংশ নেতানেত্রীরা। তবে গান্ধী পরিবারের (Gandhi Family) এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহারে নিয়মিত পথে নামছে দলটি। গতকাল শুক্রবারও যন্তরমন্তরে প্রতিবাদ জানান দিল্লি কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। তবে কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও ভাবেই সিদ্ধান্ত বদল করা হবে না। সংবাদ প্রতিদিনের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ এসপিজি নিরাপত্তা পাবেন না! নয়া বিল এনে এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার কথাও ভাবা হচ্ছে। আরও পড়ুন: Priyanka Gandhi: গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা হরণের পিছনে রাজনীতি রয়েছে, মুখ খুললেন প্রিয়াঙ্কা

তথ্য বলছে, ১৯৮১ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ভার ছিল দিল্লি পুলিসের (Delhi Police) হাতেই। তারপরে তৈরি হয় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর ‘স্পেশাল প্রোটেকশন ইউনিট’ তৈরি হয়। এটিই পরবর্তীকালে ‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ’ বা ‘এসপিজি’তে পরিণত হয়। প্রথমে এই এসপিজি ছিল শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্যই। জঙ্গি হামলায় রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরেই এসপিজি আইনে সংশোধন এনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারকে এসপিজি নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়।