মেহবুবা মুফতি(Photo Credits: PTI)

শ্রীনগর, ২৫ মার্চ: মাত্র একদিন আগেই সাত মাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এবার উপত্যকার অন্যান্ত রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবি জানালেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সেই তালিকায় তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির (Mehbooba Mufti) নাম করতে ভোলেননি। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কবলে বিশ্ব। দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। এই সময় পিডিপি নেত্রী বন্দিদশা এককথায় বিরক্তিকর ও হিংস্র সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্ মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে সকল রাজনৈতিক নেতাদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ওমর আবদুল্লা।

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিকে মেহবুবা মুফতি-সহ বাকি রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করে রাখা চরম নিষ্ঠুরতা। এই বন্দিজীবনের সঠিক বিবেচনা তো হবে না। তাছাড়া আগামী তিন সপ্তাহের জন্য় করোনা থেকে বাঁচতে গোটা দেশ যখন লকডাউনে , তখন এঁদের বন্দি করে রাখার কোনও সার্থকতা নেই। আশা করি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁদের মুক্তি দেবেন। বুধবারই এই টুইট করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা। আর মঙ্গলবারই সাত মাসের বন্দি জীবন থেকে তাঁর মুক্তি মিলেছে। আরও পড়ুন-CM Mamata Banerjee: বৈচিত্রের দেশ ভারত, করোনাত্রস্ত দেশবাসীকে উগাডি- গুডিপাডওয়ার শুভেচ্ছা জানালেন মমতা ব্যানার্জি

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট যখন কেন্দ্র উপত্যকার বিশেষ অধিকার খর্ব করার পাশাপাশি ৩৭০ ধারা তুলে নেয়, তখন সমস্ত রকম বাধা এড়াতে কাশ্মীরের নেতা, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রথম গৃহবন্দি করে। পরে তাঁদের সতর্কতামূলক গ্রেপ্তার করা হয়। গোটা উপত্যাকায় জারি হয় লকডাউন। পাঁচ মাস কাটার পর ধাপে ধাপে লকডাউন উঠলেও। তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ বাকি নেতাদের মুক্তি দেয়নি কেন্দ্র। দেশের বিরোধী রাজনীতিকরা তাঁদের মুক্তির দাবিতে বার বার কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনীতিকদের জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও গতিবিধির পরিধি বেঁধে দেওয়া হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল কাশ্মীর পরিদর্শনের পর কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় পরের বার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ভূস্বর্গে এলেও ইউরোপ থেকে কেউ আসেননি। এনকী, লেবার পার্টীর সাংসদের ভারতে প্রবেশের ভিসাও বাতিল করে দিল্লি।