নতুন দিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর: তিহার জেলে (Tihar Jail) একই সঙ্গে, একই সময়ে ফাঁসি হবে নির্ভয়াকাণ্ডে (Nirbhaya Case) দোষীদের। তিহার জেলের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথম। যেখানে একই ফাঁসিকাঠ থেকে চারজনকে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়া হবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এজন্য নতুন একটি কৌশলের পরীক্ষা আগেই করা হয়েছে। জানা গেছে, একের বেশি আসামির ফাঁসি হলে এক সঙ্গেই ফাঁসি দেওয়া বাধ্যতামূলক। তার কারণ একজনের ফাঁসির পর অন্যদের মধ্যে কোনও আসামি অসুস্থ বা অজ্ঞান হয়ে পড়লে ফাঁসি কার্যকর করা যাবে না। দোষীদের মৃত ঘোষণার আগে কমপক্ষে তিন ঘন্টা ধরে রাখার ক্ষমতা ফাঁসিকাঠের আছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্যও ট্রায়াল রান করা হচ্ছে। দোষীদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য ম্যানিলা দড়ি (Manila ropes) সংগ্রহ করা হয়েছে। এই দড়িগুলি নরম, কিন্তু শক্তিশালী। এ দড়ি কম বেদনাদায়ক মৃত্যু নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, এর আগে বক্সার দড়ি (Buxar ropes) ফাঁসির জন্য ব্যবহৃত হত।
জানা যাচ্ছে, আসামিদের তিহার জেলের তিন নম্বর কারাগারে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের আলাদা আলাদা সেলে রাখা হয়েছে। গত ১৪ দিন অন্তত একবার তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর রাতে গণধর্ষণের পর চলন্ত বাস থেকে দিল্লির রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়েছিল নির্ভয়াকে। সেই ঘটনার পর সাত বছর কেটে গিয়েছে। দোষীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আদালতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে নির্ভয়ার পরিবার। দোষীদের দ্রুত মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আবেদন জানিয়ে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন নির্ভয়ার বাবা-মা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার শুনানি হয় পাতিয়ালা হাউস আদালতে (Patiala House Court)। ১৮ তারিখ আবারও শুনানি রয়েছে। আরও পড়ুন: Forbes World's 100 Most Powerful Women 2019: ফোর্বসের ক্ষমতাশালী নারীদের তালিকায় ৩৪-তম স্থানে জায়গা পেলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন
শুনানি শেষে নির্ভয়ার মা আশাদেবী বলেন, “গত ৭ বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে পারব। আশা করছি ১৮ ডিসেম্বর দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা হবে।” অন্যদিকে নির্ভয়া মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেছে আসামী অক্ষয় ঠাকুর। ১৭ ডিসেম্বর এই আবেদনের শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।