Photo Credit_Instagram

ভাদ্র ও মাঘমাসের শুক্লা চতুর্থীকে বলা হয় গণেশ চতুর্থী। হিন্দু ধর্মের প্রাচীন বিশ্বাস এই দিনটি হল গণেশের জন্মদিন। গণেশ চতুর্থীর দিন সারা ভারতের গণেশ মন্দির , দেবালয় সহ  বাড়িতেও গণেশের পুজো করা হয়।গণেশ উত্‍সব প্রায় ১০দিন ধরে চলে। রঙ ও আনন্দের এক মহামিলনের উত্‍সব এই গণেশ চতুর্থী। গণেশ অত্যন্ত মোদকপ্রিয় দেবতা।তাই এই ১০দিনের উত্‍সব জুড়ে মোদকের সুস্বাদু স্বাদ না নিলে তা অসম্পূর্ণ হয়ে থাকে। তামিলভাষায় মোদককে কোজাকাত্তাই, কন্নড়ে মোধাকা ও কদুবু ও তেলেগুতে কমদুম নামে পরিচিত। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, গণেশ লাড্ডু , মোদক ও অন্যান্য সব মিষ্টি খেতেই পছন্দ করেন। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হল মোদক। তবে গণেশ পুজোর সময় কেন ২১টি মোদক ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়? আজ জেনে নেব সেই কারণ-

পৌরানিক কাহিনি অনুযায়ী, একদিন ঋষি অত্রি গণেশকে ভোজনের জন্য আমন্ত্রিত করেন। ঋষি অত্রির স্ত্রী অনুসূয়া আহার পরিবেশন করলে ভোজন শুরু করেন গণেশ। কিন্তু কিছুতেই গণেশের ক্ষুধা নিবৃত্তি হয় না। তাই দেখে অনুসূয়া চিন্তিত হয়ে পড়েন। বাড়িতে কোনও অতিথি আগত মানে তিনি নারায়ণ স্বরূপ। তাঁকে অতৃপ্ত অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া অপরাধ। তখন অনুসূয়া ভাবেন গণেশকে তৃপ্ত করতে কিছু মিষ্টি দেওয়া যেতে পারে। সেই সময় অনুসূয়ার কাছে অনেকগুলি মোদক প্রস্তুত করা ছিল।সুস্বাদু মোদক খেয়ে গণেশের মন ও পেট দুই-ই ভরে যায়।কাহিনী অনুসারে গণেশকে শান্ত করতে ইশারায় শিব ২১ বার ঢেকুর দিয়েছিলেন। যখন ভগবান শিব ২১ বার ঢেকুর তোলেন এবং দেবী পার্বতী জানতে পারলেন যে মোদক তাঁদের দুজনকে সন্তুষ্ট করেছে, তখনই তিনি মহাদেবেরকাছে একটি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে গণপতির ভক্তরা সর্বদা তাঁকে ২১ টি মোদকের ভোগ চরান। তারপর থেকে গণেশ পুজোয় মোট ২১টি মোদক সাজিয়ে ভোগ হিসেবে অর্পন করা হয়।