শ্রীনগর, ৩ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা (Article 370) বাতিলের পর থেকেই ভারতকে বিপাকে ফেলতে তৎপর পাক সেনা। এখন গোটা উপত্যকায় সেনা নিরাপত্তা কঠোর, কার্ফিউ জারি রয়েছে। এরমধ্যেই নিরাপত্তা বলয় ভেঙে কাশ্মীরে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান। মূলত জঙ্গিদের এদেশে ঢুকিয়ে অপারেশন চালানোর ছক কষছে। এই মুহূর্তে পাক সীমানার কাচারবন পোস্টে বর্তমানে অপেক্ষা করছে কমপক্ষে ৫০ জঙ্গি। জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রেপ্তার ২ পাক জঙ্গিকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সম্প্রতি গুলমার্গ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় খলিল আহমেদ ও নাজিম খোকার। জেরায় তারা জানিয়েছে কাচারবন লঞ্চপ্যাড দিয়ে কাশ্মীরে ঢুকেছে তারা। ওই লঞ্চপ্যাডটি সেখানকার পাক সেনা ক্যাম্পের কাছেই।
জেরায় ধৃত জঙ্গিরা জানিয়েছে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর সেখানে জঙ্গি ঢুকিয়ে গোলমাল পাকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাক সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জোহিল, বার্গি, নিউ বালতাল পোস্ট দিয়ে কাশ্মীরে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। কাচারবন পোস্টে ওই ৫০ জঙ্গিকে কাশ্মীরে ঢুকিয়ে দেওয়ার সুযোগ খুঁজছে পাক সেনা। একই সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্করের ক্যাম্পে জঙ্গি সংখ্যা বাড়ছে। রীতিমতো অস্ত্র প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে সেখানে। ইতিমধ্যেই সাত লস্কর জঙ্গি কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে। ওই দলেরই সদস্য হল এই খলিল আহমেদ ও নাজিম খোকার। এছাড়াও ওই দলে রয়েছে আরও তিন আফগান জঙ্গি। আরও পড়ুন-কাশ্মীর থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই উঠছে কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট, জানালেন অমিত শাহ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গিদের এখনও কাশ্মীর পুলিশের হাতে স্থানান্তর করেনি সেনা। একবার হস্তান্তর হয়ে গেলেই ধৃতদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। উল্লেখ্য, কার্ফিউর মধ্যেই উপত্যকায় এক দোকানদারকে গুলিতে উড়িয়ে দিয়েছে পাক জঙ্গিরা। গুরুতর আহত দোকানিকে হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে অভিযুক্ত জঙ্গিকে ধরতে পারেনি সেনা। জঙ্গিরা উপত্যকাতে বিক্ষিপ্ত হামলা বন্দ করেনি। এই ৫০ জন জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়লে হামলার ঘটনা বাড়বে তা নিশ্চিত।