মুম্বই, ২৮ অক্টোবর: আজ বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্টে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের (Aryan Khan) জামিনের আবেদনের শুনানি। মুম্বই ক্রুজ মাদক মামলায় গত ৩ অক্টোবর আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। গত মঙ্গলবার শুনানিতে বাকবিতন্ডার সময় প্রাক্তনঅ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগি বলেন, আরিয়ান খানের অল্প বয়স। তাঁকে জেলে রাখার বদলে রিহ্যাবে পাঠানোর প্রয়োজন ছিল। জেলে কেন? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। গত তিন অক্টোবর একটি ক্রুজ জাহাজে পার্টি চলছিল। সেখান থেকেই এনসিপি ২৩ বছরের তারকাপুত্রকে গ্রেপ্তার করে। এই মুহূর্তেএকই সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়ার আরবাজ মার্চেন্ট ও আরিয়ান রয়েছেন আর্থার রোড জেলে। আর মুনমুন ধমেচা রয়েছেন বায়ুকল্লা মহিলা জেলে। আরও পড়ুন- Kanō Jigorō’s 161st Birthday Google Doodle: জাপানের জুডোর জনক কানো জিগোরোর ১৬১-তম জন্মদিনে গুগলের ডুডল
আজ বেলা বারোটার পর আরিয়ান খানের জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি হবে বম্বে হাইকোর্টে। আরিয়ানের পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহতাগি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, সেদিন ক্রুজের পার্টিতে তাঁর মক্কেলকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি আদালতকে আগেই জানিয়েছেন যে , "আরিয়ানের বিরুদ্ধে ড্রাগ নেওয়ার বা সঙ্গে রাখার কোনও মামলা দায়ের হয়নি। এটা জামিনের জন্য উপযুক্ত মামলা।"
আরিয়ান খানের পক্ষে সওয়াল করতে উঠে রোহতাগি বলেন, "আইন অনুসারে কারোর কাছে যদি সামান্য পরিমাণে মাদক মেলে তাহলে এক বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে। যদি কেউ মাদক নেয় তাহলে তাকে রিহ্যাবে রাখা হতে পারে। ক্রুজের পার্টি আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম প্রতীক গাবা আরিয়ান খানকে সেদিন আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আরবাজ মার্চেন্টকেও তিনিই আমন্ত্রণ জানান। একই সঙ্গে সেদিন দুজনে ক্রুজে প্রবেশও করেছিলেন। এটা ঠিক এনসিবির কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল, ক্রুজে ড্রাগের লেনদেন হবে। তাই তারা আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিল। আরিয়ান খানকেও তল্লাশি করা হলে কোনও ড্রাগ মেলেনি। যদি তিনি ড্রাগ নিয়েই থাকেন তাহলে তকেন তাঁর কোনও ডাক্তারি পরীক্ষা কেন হয়নি। অন্যদিকে এনসিবি জানিয়েছে আরবাজ মার্চেন্টের কাছ থেকে ৬ গ্রাম চরস উদ্ধার হয়েছে। আরিয়ান আরবাজকে চিনতে না। সেদিন ক্রুজে তাঁরা একসঙ্গে প্রবেশ করেছিলেন, এটাই যা যোগসূত্র। সেখানে কোনও ড্রাগ মেলেনি। আরিয়ানের ড্রাগ নেওয়ার কোনও প্রমাণও নেই।"।