হায়দরাাবাদ, ৭ জুন: বাবা মারা গেলে সহানুভূতির কারণে বাবার চাকরিটা পাওয়া যাবে, এই কারণে বাবাকেই খুন করল ছেলে। তাকে সঙ্গত দিল মা ও ছোটো ভাই। এরপর বলল বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তেলাঙ্গানার (Telangana) পেড্ডাপল্লি জেলার (Peddapalli district) কোথুর গ্রামের ঘটনা। ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তিকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে তাঁর বড় ছেলে। পুলিশ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও তাদের মা পলাতক। দুটি মোবাইল ফোন এবং গামছা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ২৫ বছরের ওই যুবকের পলিটেকনিক ডিপ্লোমা রয়েছে। সে তার বাবাকে ঘুমের মধ্যে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন কর ২৬ মে। বাড়িতে ঘুমন্ত ছিলেন। মৃত ব্যক্তি পেড্ডাপল্লির সরকারি সিঙ্গেরেনি কোলিয়ারিতে (Singareni Collieries Limited) পাম্প অপারেটর ছিলেন। মৃতের বড় ছেলের জন্য সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি পেতেই খুনের পরিকল্পনা করে। বড় ছেলে তার বাবাকে খুনের পর সকালে পরিবারের অন্যদের জানায় যে তিনি হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা গেছেন। যদিও স্থানীয়রা সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশ ডাকে। এরপর পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ও তদন্ত শুরু করে। মা ও ছোট ভাইকে জেরা করেই আসল সত্যি জানতে পারে পুলিশ। আরও পড়ুন: Hyderabadi Journalist Died of COVID-19: হায়দরাবাদে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সাংবাদিকের
তেলাঙ্গানা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ মালিকানাধীন সিঙ্গেরেনি কোলিয়ারি সংস্থা (এসসিসিএল) চাকরিরত অবস্থায় মারা যাওয়া কর্মচারীর পরিবারের একজনকে কর্মসংস্থান দেয়। রামগুন্ডমের পুলিশ কমিশনার ভি সত্যনারায়ণ বলেন, "কেলিয়ারিতে বাবার চাকরি পাওয়ার জন্য ওই যুবক খুন করে। তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ (হত্যা), ১২০-বি (ষড়যন্ত্র), ২০১ (মিথ্যা তথ্য দেওয়া) এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।