Indore: বাদুড় ভিলেন, টানা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে আতঙ্কিত ইন্দোরবাসী
বাদুড়ের প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pxhere)

ইন্দোর, ২৮ মে: মহামারী বিধ্বস্ত ভারতে বাদুড়ের নাম শুনলেই যে কেউ এখন আঁতকে উঠবেন। এমন একটা অশুভ ব্যাপার এই প্রাণীটির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে যে অনেকেই এর নামও করতে রাজি নন। তবে করোনাভাইরাসের হেতু বাদুড়কে ঠাওড়ানো হলেও তা এখনও প্রমাণের অপেক্ষায় আছে। এহেন পরিস্থিতিতে সেই বাদুড় কিনা শহরের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অন্যতম কারণ! ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। সেখানকার বিদ্যুৎ দপ্তরের সাফাই উড়ন্ত বাদুড় বিদ্যুতের তার আঁকড়ে পড়ে থাকায় শহরে লোডশেডিং চলছে। এই প্রসঙ্গে সেখানকার বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তা বিকাশ নারওয়াল বলেন, শহরের বেশকিছু এলাকার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ অবশ্যই এই বাদুড়। বেশিরভাগ সময় বাদুর বিদ্যুৎ সরবরাহের তারে ঝুলে থাকায় শটসার্কিটের জেরে শহর অন্ধকারে ঢাকছে।

বিদ্যুৎ দপ্তরের দাবি, স্থানীয় রাজওয়াড়া এলাকায় বাদুড়ের দারুণ উপদ্রব। সেকারণে ওই এলাকায় মাঝে মাঝেই লোডশোডিং চলতে থাকে। স্থানীয় কৃষ্ণপুরা ও রামবাগ এলাকাকে জুড়েছে হ্যামিল্টন রোড। ওই রাস্তাতেই রয়েছে ঘনগাছের সারি। পুরো এলাকাটিই বাদুড়ের আস্তানা। ওড়ার সময় মাঝে মাঝে গাছের ডাল ছেড়ে বাদুড়ের দল বিদ্যুৎ সরবরাহের তারে বসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই শটসার্কিট, এভাবেই প্রায়ই ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট লেগে থাকে। অনেক সময় বাদুড়ের ঝাঁক গাছের ডালে ডালে উড়তে গিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের তারের সঙ্গে ধাক্কা লেগেও বিপত্তি বাধে। গত দুদিনে এমনটাই ঘটেছে স্থানীয় লিমলি বাজার, হ্যামিল্টন রোড, সংস্কৃত কলেজ, সুভাষচক ও নন্দলালপুরা এলাকায়। এছাড়াও চন্দননগর এলাকার ফুটিকোথি ও ধর রোডের মধ্যেও একই কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়েছে। আরও পড়ুন-West Bengal Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় নিম্নচাপ অক্ষরেখা, বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টিমুখর বাংলা

এমনিতে রাজ্যজুড়ে তীব্র দাবদাহ, তারমধ্যে বার বার লোডশেডিংয়ে বিপদে পড়েছেন স্থানীয়রা। তাই বিদ্যুৎ দপ্তরের ফোনের রিং বন্ধই হচ্ছে না। বার বার লোডশেডিংয়ের অভিযোগ জানিয়ে ফোন কল আসতেই রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা দেখছেন এদিক সেদিক মৃত বাদুড় পড়ে আছে। কারণটা বেশ স্পষ্ট।এই নিয়ে ১৫ দিনে শহরের একই জায়গায় তিনবার বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটল। চাইলেই বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা তার লাগোয়া এলাকায় থাকা গাছের ডাল কাটতে পারেন, তবে তা বেআইনি তাই গাছ কাটা সম্ভব নয়। পাখিদের ওড়ার গতি রুদ্ধ করার অধিকার মানুষের নেই। তাই এই সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধানও দেখা যাচ্ছে না।