বেঙ্গালুরু, ২৫ নভেম্বর: চটের ব্যাগে ভরে ফেলে দেওয়া হল মহিলার দেহ। শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই মহিলার দেহ চটের ব্যাগে ভরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কর্ণাটকের (Karnataka) মেঙ্গালুরুতে (Mangaluru)। যে খবর প্রকা শ্যে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল ছড়ায়। দক্ষিণ কর্ণাটকের বীরামঙ্গলা জেলার সুল্লিয়ার ওই ঘটনায় শোরগোল ছড়িয়েছে। যে মহিলার মৃতদেহ চটের ব্যাগে ভরে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তাঁর স্বামী ইমরান শেখই খুন করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। মেঙ্গালুরু থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধারের পর থেকে খোঁজ মিলছে না ইমরান শেখের। মেঙ্গালুরুর সুল্লির একটি পানশালায় কাজ করতে ইমরান শেখ। ইমরানের স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধৈারের পর থেকেই তার খোঁজ মিলছে না বলে জানায় পুলিশ। ইমরান শেখের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই জানানো হয় পুলিশের তরফে।
ইমরান শেখ সুল্লিয়ার যে পানশালায় কাজ করত, সেখানেকার মালিক জানান, স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা বলে অভিযুক্ত বেতন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) চলে যায়। তবে ইমরান তার দেশের বাড়িতে গিয়েছে কিনা, সে বিষয়ে তারা কিছু জানে না। তবে ২০ নভেম্বর ইমরানের বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শোনা যায় বলে জানান তার প্রতিবেশীরা। সন্তোষ নামে ইমরানের প্রতিবেশী এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে, স্ত্রী শৌচাগারে পা পিছলে পড়ে গিয়েছে বলে জানায় অভিযুক্ত।
এরপর থেকে সন্তোষ বারবার ইমরান শেখের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও, তার ফোনের সুইচ অফ করা থাকে। এরপর ইমরানের পানশালার মালিক তার ভাড়া বাড়িতে গেলে, সেখানে শৌচাগারে মেলে একটি চটের থলি। সঙ্গে সঙ্গে সন্তোষ এবং ইমরানের পানশালার মালিক পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চটের ব্যাগ থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, স্ত্রীকে খুন করে ইমরান শেখ বাড়ি থেকে পালিয়েছে। ইমরান শেখের বিরুদ্ধে সুল্লিয়া থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।