প্রতীকী ছি (Photo Credits: File Image)

রেওয়া, ১৯ অক্টোবর: পুলিশ লকআপে (Rewa police lock-up) গণধর্ষণের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। এবার মহিলা বন্দিকে টান ১০দিন ধরে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৫ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার মনগাওনের। নির্যাতিতা বন্দির অভিযোগের তালিকায় রয়েছে ওই থানার ৫ পুলিশকর্মী, থানার ইনচার্জ, ও সাবডিভিশনাল পুলিশকর্তা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর লকআপ পরিদর্শনে আসেন জেলার অতিরিক্ত বিচারক ও আইনজীবীদের একটি দল। তাঁদের কাছেই নির্যাতিতা বন্দি গণধর্ষণের অভিযোগ জানান। বলেন, মে মাসের ৯-২১ তারিখের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি ওই মহিলাকে গত ২১ মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, নির্যাতিতা SDOP, থানার ইনচার্জ ও ৩ জন হাবিলদারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। এই নারকীয় ঘটনা দেখে থানার এক মহিলা কনস্টেবল প্রতিবাদের চেষ্টা করেছিলেন তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। তবে ১০ অক্টোবরের আগে কেন নির্যাতিতা অভিযোগ জানালেন না, এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর দাবি মাস তিনেক আগে ওয়ার্ডেনকে একবার একথা তিনি বলেছিলেন। এবং ওয়ার্ডেন নিজেও সেকথা জানিয়েছেন। এরপরেই গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য রেওয়ার পুলিশ সুপার রাকেশ সিংকে চিঠি লিখেছেন জেলার বিচারক। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In West Bengal: রাজ্যে করোনার সর্বগ্রাসী থাবা, পুজোর শুরুতেই মৃত্যু ৬ হাজার ছাড়ালো

এই প্রসঙ্গে রেওয়া জেলার বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেন্দ্র পাণ্ডে বলেছেন, “নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন জেলার অতিরিক্ত বিচারক। এবং সেই রেকর্ড চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করা হয়েছে। তারপর তা জেলা জজের কাছে সাবমিট করা হয়। এরপর ১৪ অক্টোবর এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে পুলিশ সুপারকে চিঠি লেখেন জেলা জজ।” এই প্রসঙ্গে রাজেন্দ্র পাণ্ডে জানিয়েছেন, আইনজীবীদের একটি দল নিয়ম মেনে মহিলা জেলবন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে যাবে এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে রিপোর্ট জমা করা হবে।