আলিগড়, ৩ জুলাই: দাবি মতো হাসপাতালের পাহাড় প্রমাণ বিলে মেটাতে পারেনি রোগীর পরিবার। তাই রোগীকে পিটিয়ে মারল হাসপাতালেরই কর্মীরা। বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) কোয়ারসি বাইপাস এলাকার একটি হাসপাতালে। মৃত ব্যক্তির নাম সুলতান খান। পেশায় দিনমজুর সুলতান বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্রাবের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই ভাইপো চমনকে নিয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন তিনি। কাকাকে ভর্তি করার আগেই চিকিৎসার খরচ কেমন পড়তে পারে তা জানতে চান চমন। সেই সময় হাসপাতালের এক কর্মী জানান, রোগীর আল্ট্রাসাউন্ড টেস্ট হওয়ার পর তা দেখে চিকিৎসা খরচ কত পড়বে তা জানানো হবে।
চমনে অভিযোগ, কাকা সুলতান খানের আল্ট্রাসাউন্ড টেস্ট হয়নি। তার আগেই ওষুধ বাবদ ৫ হাজার টাকা চায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি সেই বিল মিটিয়েও দেন। পরে ওই কর্মী জানান, দিনপ্রতি হাসপাতালের চার্জ পড়বে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই তাই কাকাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলি। যখন ৫ হাজার টাকা মিটিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসছি। তখন এক কর্মী বলেন, আমাদের আরও চার হাজার টাকা পে করতে হবে। বিষয়টি নিটে তর্কাতর্কি শুরু হতেই চমন কর্মীদের কাছে অনুরোধ করেন যাতে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়। অভিযোগ, কর্মীরা সেই অনুরোধ ফুৎকারে উড়িয়ে রোগীকে মারধর শুরু করে। এদিকে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে হাসপাতালের চিকিৎসক দানিশ আলি বলেন, কর্মীদের চার হাজার টাকা পে করেনি রোগীর পরিবার। টাকা চাওয়ায় তারাই কর্মীদের উপরে হামলা চালায়। আরও পড়ুন- Saroj Khan Dies at 71: সরোজ খানের প্রয়াণে টুইটারে শোকবার্তা, কী বললেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা?
এদিকে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বলছে অন্যকথা। সেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের চৌহদ্দিতে চমন ও কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়েছে। কয়েকজন কর্মী ফের হাসপাতালের ভিতরে চলে গেলেন। তারপর লাঠিসোটা নিয়ে দলভারী করে ফিরে এসে রোগী সুলতান খানকে মারধর শুরু করলেন। বেধড়ক মারধরের জেরেই সুলতান খান প্রাণ হারান। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।