আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ দিতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (CM Arvind Kejriwal)। তারপরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। একদিকে আপ নেতৃত্বের দাবি, কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করছেন ঠিকই, তবে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে আবারও তিনি কুর্সিতেই বসবেন। অন্যদিকে বিজেপি নেতাদের দাবি, আসলে আবগারি দুর্নীতি মামলায় নিজের দোষ কোথায় ছিল তা বুঝতে পেরেছেন কেজরিওয়াল, তাই দলের বাকি নেতাদের চাপেই তিনি পদত্যাগ করছেন।

এই প্রসঙ্গে সুধাংশু ত্রিবেদী (Sudhanshu Trivedi) বলেন, "এই ছয়মাস যখন তিনি জেলে ছিলেন তখন তিনি পদত্যাগের বিষয়ে কিছু ভাবেননি। জেল থেকে বেরিয়েই তাঁর এই কথা মনে পড়ল কেন? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে যেতে পারবেন না। কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না, এবং আবগারি দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্যও করতে পারবেন না। আসলে উনি দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যার ওপর এত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সেই কারণেই কি উনি পদত্যাগ করছেন"?

সুধাংশু আরও বলেন, "পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার কেন সময় চাইছেন? কেজরিওয়াল কি এই সময়ের মধ্যে কিছু লোকাতে চাইছেন। এই ৪৮ ঘন্টর রহস্য দিল্লিবাসী জানতে চাইছে। আর উনি দিল্লিতে নির্বাচনের আবেদন করছেন। ওনার সরকার তো এখনও সক্রিয় রয়েছে। ৭০ টি আসনের মধ্যে ৬২ জন বিধায়ক রয়েছে, তিনি আবার কিসের আবেদন করছেন। উনি যখন চাইবেন ক্যাবিনেট বৈঠক করে নির্বাচন করাতেই পারেন"।