নয়া দিল্লি, ৮ জানুয়ারিঃ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড় হয় বিলকিস বানোর (Bilkis Bano)। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তার পরিবারকে হত্যাকারী ১১ জন আসামিকে মুক্তির রায় আটকে দিল শীর্ষ আদালত। আজ সোমবার বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলার (Bilkis Bano Gang Rape Case) শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। ১১ জন দোষীদের মুক্ত করার গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তকে সর্বসমক্ষে ভুল বলে উল্লেখ করে আসামিদের পুনরায় জেলে ফেরার নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগারথনা এবং উজ্জল ভূইয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, গুজরাট সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত বেআইনি। অপরাধীকে শুধুমাত্র সেই রাজ্যই মুক্তি দিতে পারে যেখানে তাঁরা বিচারাধীন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই কোর্ট অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। পরে বম্বে হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। ২০২২ সালে বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। আর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্ত হয়েছিলেন বিলকিস।
এদিন শুনানির সময়ে বিচারপতি বলেন, নির্যাতিতার অধিকার এবং নারীর সম্মান রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। একজন মহিলা সমাজে যে ধর্মেরই হোক, যে শ্রেণিরি হোক অবশ্যই সম্মানের যোগ্য। নারীর বিরুদ্ধে এমন জঘন্য অপরাধ কি ক্ষমার অনুমতি পেতে পারে কখনও! ২ সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের আত্মসমর্পনের রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময়ে গণধর্ষণের শিকার হন বিলকিস বানো। সেই সময়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। শুরু তাই নয় তাঁর চোখের সামনেই ৩ বছরের কন্যা সহ পরিবারের ৭ সদস্যকে কুপিয়ে খুন করা হয়।