দিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর: বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালতের রায়ে ১৪ দিনের বিচবিভাগীয় হেফাজতে তিহাড় জেলে ঠাঁই হয়েছে পি চিদম্বরমের (P Chidamabaram)। রাত পোহাতেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা সতীর্থ রাজনীতিকের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। বলা বাহুল্য, দলটির সঙ্গে জেলবন্দি চিদম্বরমের দেখা হল না। এক রাতে তিহাড় জেলে কাটিয়ে ঠিক কেমন আছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জানতে পারলেন না সতীর্থ রাজনীতিকরা। জেলের তরফে ওই প্রতিনিধি দলটিকে জানানো হল, সময় শেষ তাই আজ আর চিদম্বরমের সঙ্গে তাঁরা দেখা করতে পারবেন না। দলে ছিলেন, মুকুল ওয়াশনিক, পি সি চাকো, মণিক্কম ঠাকুর, অবিণাশ পাণ্ডে ও অন্যান্য নেতারা।
প্রিয় নেতাকে দেখতে না পেয়ে শেষে জেল সুপারের সঙ্গে দেখা করে গোটা প্রতিনিধি দলটি। চিদম্বরমের সম্পর্কে সেখানেই একপ্রস্থ খোঁজ খবর করা হয়। মূলত কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নির্দেশেই এই প্রতিনিধি দলটি তিহাড় জেলে গিয়েছিল। এমনিতে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান পি চিদম্বরম। তিহাড় জেলে (Tihar Jail) যাতে তাঁকে পৃথক নিরাপত্তা দেওয়া হয় তার জন্য আবেদনও করেছিলেন তিনি। যেহেতু বিচারবিভাগীয় হেফাজতে (Judicial Custody) আছেন, সেহেতু তাকে আলাদা নিরাপত্তা দেওয়া হোক। সঙ্গে পৃথক কুঠুরি। সিবিআই আদালতে প্রবীণ কংগ্রেস নেতার এই আবেদন মেনে নিয়েছে। সেই মতোই সব বন্দোবস্ত হয়েছে। আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় তিহাড় জেলেই থাকছেন পি চিদম্বরম। আরও পড়ুন-P Chidamabarm on INX Media Case:তিহাড় জেলের সাত নম্বর কুঠুরিতে ঠাঁই চিদম্বরমের, খেতে হবে জেলের ক্যান্টিনেই, থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশি লগ্নিতে এফআইপিবি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছিলেন। সে প্রায় ৩৫০ কোটির কাজ। এজন্য ছেলে কার্তি চিদম্বরমও (Karti Chidamabarm) মোটা অঙ্কের ঘুষ পান বলে অভিযোগ। যদিও ইডি ও সিবিআই (ED-CBI)এখনও পর্যন্ত সেই টাকার কোনও হদিশ করে উঠতে পারেনি। তবে তাদের ধারণা পি চিদম্বরম প্রভাবশালী ব্যক্তি তিনি জেলের বাইরে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় প্রমাণ লোপাট করে দেবেন।