নতুন দিল্লি, ১৩ মে: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই প্যাকেজ পাঁচটি স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে আছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়তেই কেন্দ্রের এই প্যাকেজ। আত্মনির্ভর হওয়া মানে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া নয়। সমাজের সর্ব স্তরের বদলের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজের ব্যাখ্যার শুরুতে একথাই বললেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, “গরিবদের জন্য সরকার নিরলস ভাবে কাজ করছে। স্থানীয় ব্র্যান্ডকে বিশ্ব ব্র্যান্ড করাই কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা। ৪০ দিনে দেশে পিপিই, মাস্ক ও ভেন্টিলেটর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৬টি পদক্ষেপ হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ঋণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ লক্ষ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ এক কোটি এবং টার্নওভার ৫০০ কোটি টাকা হলেও এখন থেকে সেই সংস্থাকে মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে ধরা হবে। মাইক্রোর ক্ষেত্রে আগে ২৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ ছিল, এখন সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে এক কোটি টাকা। এখন বিনিয়োগ করা মূলধনের পরিমাণের সঙ্গে বাৎসরিক টার্নওভার যোগ করা হয়েছে। এমএসএমই-র সংজ্ঞা বদল করা হয়েছে। ৫০ হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরি করা হয়েছে যা অপেক্ষাকৃত সক্ষম ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য দেওয়া হবে। ২০ হাজার কোটি নগদ সাহায্য করা হবে দুর্বল ও ঋণগ্রস্ত সংস্থার জন্য চার বছরের জন্য এই ঋণ দেওয়া হবে, তার মধ্যে প্রথম ১২ মাস অর্থাৎ এক বছর ঋণ পরিশোধ করতে হবে না। তার জন্য কোনও গ্যারান্টি লাগবে না। ঋণের উপর এক বছরের মোরেটরিয়াম দেওয়া হবে। ৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের ব্যবস্থা করা হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য। মোট ১৫টি পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার মধ্যে ৬টি পদক্ষেপ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র ক্ষেত্রের জন্য। করদাতাদের কর দেওয়ার পদ্ধতি অনেক সরল করা হয়েছে। আরও পড়ুন-Nirmala Sitharaman: ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজর বর্ণনা, চারটের সময় সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ
In a major initiative, we announce Rs 3 lakh crores collateral-free automatic loans for businesses, including SMEs. Borrowers with up Rs 25Cr outstanding and Rs100 Cr turnover are eligible: Finance Minister Nirmala Sitharaman #EconomicPackage pic.twitter.com/56YHRLl1bz
— ANI (@ANI) May 13, 2020
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া কৃষি, শিল্প-সহ প্রায় সব ক্ষেত্রে বিপুল সংস্কার হয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনায় বিনামূল্যে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক মিত্ররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসছেন। সেই টাকা আনতে ব্যাংকে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। গরিবদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হচ্ছে। এই লকডাউনের সময় তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশে অনেক আর্থিক সংস্কার হয়েছে।