নাগপুর, ২৫ সেপ্টেম্বর: নাগপুরে (Nagpur) ভয়াবহ ঘটনা৷ অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে ধর্ষণের পর জোর করে তাঁর গর্ভপাত করানো হয়৷ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রথমে ধর্ষণ করা হয় ওই তরুণীকে৷ এরপর অত্যাচার করে, ঘরের মধ্যেই তাঁকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করাতে হয়৷ যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়৷
রিপোর্ট প্রকাশ, সোহেল ওয়াহাব খান নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রায় ৬ বছর ধরে সম্পর্কে জড়ান নাগপুরের যশোধরা নাগরের এক তরুণী৷ সম্পর্কে থাকাকালীনই ওই তরুণীর উপর মানসিক অত্যাচার শুরু করে সোহেল৷ এরপর ২০১৬ থেকে ওই তরুণীকে যৌন হেনস্থা (Rape) শুরু করে সোহেল নামের ওই তরুণ (Youth)৷ এরপর ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলেও, তাঁর উপর ধর্ষণ বন্ধ করেনি সোহেল৷ কীভাবে ওই গর্ভপাত করতে হবে, তা ইউটিউবে দেখতে বলা হয় তরুণীকে৷
ইউটিউবে (Youtube) গর্ভপাতের (Abortion) ভিডিয়ো দেখিয়ে, বাড়ির মধ্য়েই ওই তরুণীকে নিজের গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট করতে বাধ্য করে সোহেল৷ কয়েক সপ্তাহ আগে সোহেল ওই তরুণীকে বাধ্য করে গর্ভপাত করতে৷ সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হতেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা৷ সম্পর্কের প্রথম থেকে গত ৬ বছর ধরে তাঁর উপর সোহেল কীভাবে অত্যাচার করে, তা জানানো হয় পুলিশকে৷
পুলিশের (Police) তরফে জানা যায়, সোহেল ওয়াহাব খান নামে ওই যুবক আগে থেকেই বিবাহিত৷ বাড়িতে তার স্ত্রী, সন্তান রয়েছে৷ কিন্তু রোজগার তেমন নেই৷ সবকিছু লুকিয়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোহেল দিনের পর দিন ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে সহবাস করতে শুরু করে৷ সেই সঙ্গে তরুণীর উপর চলে তার ধর্ষণ এবং অত্যাচারের পালা৷ শুধু তাই নয়, প্রথম বিয়ের বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয়বার সংসার পাতে সোহেল৷ দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বাড়িতে তার এক সন্তানও রয়েছে৷ সবকিছু মিলিয়ে নাগপুরের ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশও ধ্বন্দে পড়ে যায়৷