Ayodhya Case Hearing, Day 39: ‘মুসলিমরা অন্য কোথাও নামাজ পড়ুক, অযোধ্যা শুধুই হিন্দুদের’
বাবরি মসজিদ ও সুপ্রিম কোর্টের ফাইল ফোটে(Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৫ অক্টোবর:  মঙ্গলবার রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর হাই ভোল্টেজ মামলা অযোধ্যার (Ayodhya Case) রামমন্দির বাবরি মসজিদ বিতর্ক সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আজ ৩৯ দিনে পড়ল। এদিন মামলাকারী মহান্ত সুরেশ দাসের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কে পরাশরণ (K Parasaran)। তিনি বলেন, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে বাবরি মসজিদের আগে রামমন্দির ছিল। সেই মন্দির ধ্বংস করে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়। বর্তমানে ওই জমিতে ফের মন্দির তৈরি হলে তা যেন সেই পুরনো মন্দিরের আদলেই হবে। কোনও বিজয়ীরই ভারতের ইতিহাস ধ্বংসের অধিকার নেই। প্রধান বিচরপতির নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের ডিভিশনবেঞ্চে কে পরাশরণ বলেন, মুসলিমরা অন্য কোনও মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ুক। এই জমি হিন্দুদের জন্য ছেড়ে দিক।

যেহেতু তারা মেনে নিয়েছে যে রামচন্দ্রের জন্ম এখানেই হয়েছিল। তাই জন্মস্থান বদল করা যাবে না। অন্যদিকে অযোধ্যা সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি মসজিদ রয়েছে তাই মুসলিমদের অন্যত্র নামাজ পড়তেও কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। যেখানে রামমন্দির ছিল। সেই জমির মালিকানা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে কেমন করে সেই জমিতে বাবরি মসজিদ নির্মাণের দাবি তোলে মুসলিমরা, প্রশ্ন পরাশরণের। কথা প্রসঙ্গে তিনি বিজয়ী ও সম্রাটের মধ্যে পার্থক্যও করেন। নিজের যুক্তিতে জোর রাখতে বাবর প্রসঙ্গও টানেন পরাশরণ। বাবরকে তিনি বিদেশি বিজয়ী বলে উল্লেখ করেন। কেউ কোনও বিতর্কিত জমি জিতে নিলেই সেটিতে তার মালিকানা স্থাপিত হতে পারে না। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তাঁর কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন, সহকর্মী প্রবীণ আইনজীবী রাজীব ধাওয়ানের মতে যেখানে মসজিদ ছিল সেখানে মসজিদই নির্মিত হবে। এই বক্তব্যকী সমর্থন করেন পরাশরণ? এর উত্তরেই পরাশরণ বলেন, “না আমার কেস যেখানে এক সম মন্দির ছিল সেখানে মন্দির নির্মাণ করতে হবে। বাকিদের মন্তব্যের জবাব দেব না কারণ আমি বিশেষজ্ঞ নই।” আরও পড়ুন-ভোটের পরেই পিএমসি ব্যাংকের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরাতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করব, দেবেন্দ্র ফডনবিশ

সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফে আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান বলেন, আদালতে যাবতীয় প্রশন শুধু সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে লক্ষ্য করেই করা হচ্ছে। রামমন্দির তৈরি যাঁরা করতে চান তাঁদের কোনও প্রশ্ন করা হচ্ছে না। যদিও আমরা সব প্রশ্নের যথোচিত উত্তর আমরা দিচ্ছি। এদিকে এহেন বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে এটি সম্পূর্ণ অযাচিত বলেছেন প্রবীণ আইনজীবী সি এস বৈদ্যনাথন।