ভরদুপুরে মর্মান্তিক বিমান (Air India AI171) দুর্ঘটনা গুজরাটের মেঘানিনগরে। লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Flight Crash) বিমান যাত্রা শুরু করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আচমকা ভেঙে পড়ে জনবহুল এলাকায়। বিমানের ক্রু সহ মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন এই বিমানে। এদের মধ্যে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। থবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন একাধিক উদ্ধারকারী দল। ধ্বংসস্তুপ থেকে তাঁরা এখনও দেহ উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে দমকল বাহিনীও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিমান দুর্ঘটনা জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে স্থানীয় একটি বহুতল। আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গিয়েছে ওই বিল্ডিংটি। সেখানেও হতাহতের খবর রয়েছে।

মে-ডে সংকেত বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাইলট

এদিন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর ১টা ৩৯ নাগাদ। দুর্ঘটনাটি ঘটার পর থেকে সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার কয়েক সেকেন্ড আগেও বাঁচার ক্ষিণ আশা নিয়ে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে বিপদবার্তা অর্থাৎ মে-ডে কল পাঠিয়েছিলেন পাইলট। সেই বার্তা পেয়ে কোনও পদক্ষেপ নিতে যাবে, তার আগেই ঘটে দুর্ঘটনা। আসলে এই কলটি শুধুমাত্র কোনও বিমান যদি বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে যায়, তখনই পাইলট এটিসি-র সাহায্য চেয়ে এই সংকেত পাঠায়। এক্ষেত্রেও তা করা হয়, কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।

আহত হন মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা

ফ্লাইট রাডারের তথ্য অনুযায়ী, রানওয়ে ২৩ থেকে ওড়ার ১ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানের। মাটি থেকে মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায় উড়ে আচমকা নিচে নেমে যায় বিমানটি। যার ফলে ঘটে দু্র্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মেঘানিনগরের একটি মেডিকেল কলেজ। এই কলেজের ছাঁদে পড়ে বিমানের একাংশ। ঘটনার সময় ওই ছাঁদে অবস্থিত কলেজ ক্যান্টিনে সেই সময় খাচ্ছিলেন একাধিক মেডিকেল পড়ুয়া। দুর্ঘটনায় সেখানেও হতাহত অনেকে হয়েছেন বলে খবর।